ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি- নতুন বছরের শুরুতে বইতে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বকাপের হাওয়া। সময় যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে সেই হাওয়ার তীব্রতা। গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের ১০০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। শনিবার থেকে শুরু হলো ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার-এর বিশেষ আয়োজনে। প্রথমদিন জানবো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আয়োজক হওয়ার প্রক্রিয়া। ২০১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক যৌথ্য আয়োজক ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস। আগামী ৩০ মে শুরু হবে ক্রিকেটের মহাযুদ্ধের ১২তম আসর। ২০০৬ সালে আইসিসির কার্যনির্বাহী সভায় নির্ধারিত হয় এটি। সেবার অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপের আয়োজন নির্ধারণ হওয়ার কথা ছিল। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ছাড়াও বিশ্বকাপের ১১তম আসরের আয়োজন হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) চক্রাকার নিয়মের কারণে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সেই একই নিয়মে ১২তম আসরের আয়োজক হয়েছে ইংলিশরা। তবে এবার তাদের সঙ্গে যৌথ আয়োজক হিসেবে আছে বৃটেনের অঙ্গরাজ্য ওয়েলস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কার্য নির্বাহী পরিষদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম। ১২তম আসর শুরু অনেক আগে নির্ধারিত হয়ে গেছে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ আয়োজকের নাম। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের ১৩ আসরটি বসবে ভারতে। যদিও ভৌগোলিক একই অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলো যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে পারে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ২০২৩ বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ বাংলাদেশের আয়োজনের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ আয়োজন হয়েছে ইংল্যান্ডে। প্রথম তিনটিসহ মোট চারবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হয়েছে ইংলিশরা। ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করে দেশটি। এটি তাদের পঞ্চম আয়োজন। আগের চার আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটে মক্কা নামে খ্যাত লর্ডসে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারো ফাইনাল এই লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে। আর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হবে ওভালে। সবচেয়ে বেশিবার আয়োজক হলেও একবারও শিরোপার স্বাদ পায়নি ইংল্যান্ড। এপর্যন্ত স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি জিততে পেরেছে তিনটি দেশ। ১৯৯৬ সালে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ আয়োজক ছিল শ্রীলংকা। সেবার শিরোপা জেতে লঙ্কানরা। এরপর ২০১১ সালে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ, শ্রীলংকার সঙ্গে যৌথ আয়োজক হিসেবে থাকা ভারত। আর সর্বশেষ ২০১৫ সালে ফাইনাল খেলে দুই আয়োজন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে অজিরা। এবার অবশ্য ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মানছে ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞরা।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Ixz0HI
February 22, 2019 at 05:30PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top