ক্রাইস্টচার্চ, ১৬ ফেব্রুয়ারি- নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে মাশরাফিরা। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও আধিপত্য বিস্তার করেছেন গাপটিল। বাংলাদেশের ২২৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে গাপটিলের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৩৬.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেগলে ওভালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৫ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ওপেনার লিটন দাস। এরপর ৪.১ ওভারে ১০ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। বৃষ্টির পর ম্যাচ আবার শুরু হলে নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তোলা কঠিন হয়ে পড়েছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন তামিম ও সৌম্য। তবে তামিমও ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ২৮ বলে ৫ রান করে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ম্যাট হেনরির বলে এল বি ডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তৃতীয় উইকেটে কিছুটা আস্থায় পরিচয় দেন সৌম্য ও মুশফিক। তবে প্রথম ওয়ানডের মতো আবারও ব্যর্থ সৌম্য। ২২ রান করে গ্রান্ডহমির বলে আউট তিনি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফার্গুসনের বলে স্লিপে মুশফিকের ক্যাচ ফেলে দেন রস টেলর। এরপর ব্যক্তিগত ৫ রানে ফার্গুসনের বলে স্লিপে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ ফেলে দেন রস টেলর। জীবন পেয়ে ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি মুশফিক। দলীয় ৮১ রানে আউট হন তিনি। স্থায়ী হয়নি মাহমুদউল্লাহ-মিঠুন পঞ্চম উইকেট জুটি। দলীয় ৯৩ রানে টড অ্যাস্টেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান মাহমুদউল্লাহ। এরপর রানের দেখা পায় সাব্বির-মিঠুন। গড়েন ৫০ রানের জুটি। ৫ রানে জীবন পাওয়া মিঠুন তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক। টড অ্যাস্টেলের বলে মিঠুন বোল্ড আউট হলে ভাঙ্গে ৭৫ রানের ৬ উইকেট জুটি। দলীয় ১৯০ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যভিলিয়নের পথ ধরেন মিরাজ। এরপর সাব্বিরের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের রান ২০০র কোঠা পার করে। সাব্বির যখন ৪৩ রান করে ফার্গুসনের বলে আউট হন স্কোর বোর্ডে রান তখন ২০৬। সাইফউদ্দিনও ১০ রান করে আউট হন। মাশরাফি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৩ রান করে আউট হলে বাংলাদেশ অল আউট হয় ২২৬ রানে। নিউজিল্যান্ডের ফার্গুসন ৩টি এবং টড অ্যাস্টেল ও নিশাম ২টি করে উইকেটে নেন। ২২৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অষ্টম ওভারে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন ওপেনার হেনরি নিকোলসকে। বাউন্ডারি লাইনে লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ২৩ বলে ১৪ রান। এরপর জুটি গড়েন ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং দলপতি কেন উইলিয়ামসন। দলীয় ১৮৮ রানের মাথায় কিউইরা হারায় ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা গাপটিলকে। আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন গাপটিল। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি। ইনিংসের ২৯তম ওভারে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে ফেরার আগে তিনি ৮৮ বলে করেন ১১৮ রান। এই সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাট থেকে আসে ১৪টি চার আর ৪টি ছক্কা। এরপর কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেইলর পরের পথটা সহজেই পাড়ি দেন। এই জুটিতে আসে ৪৪ বলে ৪১ রান। উইলিয়ামসন ৮৬ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। রস টেইলর ২০ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। মোস্তাফিজ ৯ ওভারে ৪২ রানে দুটি উইকেট নেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। এমএ/ ০৫:৪৪/ ১৬ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2NdCv4U
February 16, 2019 at 11:57PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top