দাগাপুরে রেল এবং সড়ক সেতুর নিচে পঞ্চনই নদীর চর দখল করে বসতি, বিপদের আশঙ্কা

শিলিগুড়ি, ২৫ ফেব্রুয়ারিঃ শিলিগুড়িতে ফের নদীর চর দখল করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। দাগাপুরে পঞ্চনই নদীতে রেল সেতুর ঠিক নিচের অংশ দখল করে বেশ কয়েকটি বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। দিনমজুর পরিবারগুলিই এভাবে বাড়ি তৈরি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাড়িগুলি তৈরি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেশ্বর বলেন, ‘আমরা এর আগে ওই জায়গায় বেআইনি নির্মান বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আবার পরিবারের সবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে বাড়ি তৈরি হলে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।’

দাগাপুরে ৫৫ নম্বর জাতীয সড়ক বা হিলকার্ট রোডের বুক চিরে চলে গিয়েছে পঞ্চনই নদী। এই নদীর উপরে যেমন সড়ক সেতু রয়েছে, তেমনই রয়েছে রেল সেতু। কিছুদিন ধরেই রেল সেতুর নীচ থেকে লম্বালম্বিভাবে সড়ক সেতুর নীচ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ বাড়িই টিনের চালা দেওয়া। এই বাড়িগুলির একেবারে গা বেয়ে পঞ্চনই নদীও বয়ে চলেছে। নদীর জল একটু বাড়লেই বাড়িগুলিতে জল ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, একেবারে সেতুর নীচে এবং নদীর কিনারায় এভাবে বাড়ি তৈরি হচ্ছে কীভাবে? কেননা এই রাস্তা ধরেই প্রতিদিন প্রশাসনিক কর্তারা যাতায়াত করেন। এই বেআইনি কারবার কী তাঁদের নজরে আসেনি? নাকি সবাই সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে দায় এড়াচ্ছেন। এই বাড়িগুলিতে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ বাড়ির মালিকই মজদুর হিসাবে কাজ করেন। কিন্তু কেন এত ঝুঁকি নিয়ে এখানে বসবাস করছেন? বাসিন্দারা বলেন, যাবো কোথায়? কে আমাদের জায়গা দেবে? আমাদের তো জায়গা কিনে বাড়ি করার মতো অত টাকা নেই। তাই এখানেই এসে বসেছি। প্রশাসন তুলে দিলে চলে যাবো। এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, আসন্ন বর্ষায় নদীর জল বাড়লেই বাড়িগুলি ডুবে যাওযার আশঙ্কা রয়েছে। তখন এই পরিবারগুলি কোথায় যাবে? সেতুর একেবারে নীচে থাকায় একটা অঘটন ঘটলে তার দায়ই বা কে নেবে সেই প্রশ্নও উঠছে। পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রফুল্ল বর্মণ বলেন, ‘নদীর চরে এভাবে বসতি গড়ে ওঠার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। আমরা সোমবারই এলাকায দপ্তরের কর্মীদের পাঠিযে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এটা ঠিকই যে একেবারে সড়ক এবং রেল ব্রিজের নীচে এবং নদীর কিনারে এভাবে বাড়ি তৈরি হলে যে কোনো সময একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2GIsEU5

February 25, 2019 at 06:01PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top