সেবকে পর্যটন দপ্তরের নয়া পরিকল্পনা

সেবক, ১২ ফেব্রুয়ারিঃ সেবককে ঘিরে এবার পর্যটনের নতুন ডেস্টিনেশন। পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে সেবকে প্রায় ৪০ একর জমির উপর তৈরি হবে কটেজ। উদ্দেশ্য, পর্যটকরা সেবকে অন্তত কিছুদিন কাটিয়ে এখান থেকে বেঙ্গল সাফারি, গজলডোবার ভোরের আলো ঘুরে দেখতে পারেন। পুরো প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতির জন্য পাঠানো হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরই রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়াগা পেতে চলেছে সেবক।

শিলিগুড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সেবককে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর। শিলিগুড়ির খুব কাছে, বেঙ্গল সাফারি থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে থাকা কালিম্পং যাওয়ার রাস্তায় সেবক গোটা দেশে সেখানকার কালীমন্দিরের জন্য পরিচিত নাম। কারণ সেবক হয়ে যাঁরা কালিম্পং বা সিকিমে গিয়েছেন তাঁরা সেবকেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো দেননি, এমন পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। সেই কারণে কালীমন্দিরের খুব কাছেই ডিআই ফান্ডের জমি দেখা হয়েছে। যেই জমিতে শুধু কটেজই নয়, প্রচুর গাছ লাগিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হবে। কালিম্পং যাওযার পথে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীও ওই জায়গা দেখেছেন। তখন থেকেই পরিকল্পনা হয়, সেবককে ঘিরে নতুন টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের। পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগেই তা তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

এদিকে বেঙ্গল সাফারির অদূরে লালটংবস্তি, চমকডাঙ্গিতেও ১৫টি কটেজ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে পর্যটন দপ্তর। তবে এবার সেবকশ্বরী কালীমন্দির ও শিবমন্দির এলাকাও যাতে পর্যটকদের রাত কাটানোর ঠিকানা হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সেবক এলাকায় গিয়ে সেখানকার জায়াগা দেখে আসেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪০ একর জমি রয়েছে ডিআই ফান্ডের। অত জমি না লাগলেও আমরা একটু বেশি করেই সেই জমি নেব। সেখানে ওয়াচ টাওয়ার, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, ফল ফুলের গাছ থাকবে। সৌরশক্তিকে ব্যবহার করা হবে। সেখানেই আমরা কটেজ তৈরি করব। নদী ও জঙ্গলের জন্য এখানে প্রচুর পাখিও রয়েছে। আগে কালীঝোরায় থাকার জায়গা ছিল। কিন্তু এনএইচপিসি-র প্রজেক্টের জন্য জায়গাটা নষ্ট হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, পর্যটনের জন্য নতুন নতুন জায়গা তৈরি হোক, মুখ্যমন্ত্রীও সেটা চান। শিলিগুড়ির খুব কাছে সেবকে আমরা কটেজ তৈরি করতে পারলে পর্যটকরা একদিনের জন্য হলেও এখানে থেকে যেতে পারবেন। কারণ পাহাড়, সিকিম ও ডুয়ার্সে যাওয়ার এটাই রাস্তা। মাঝখানে তো সেভাবে থাকার কোনো জায়গা নেই। কটেজ তৈরি হলে এখানকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থারও প্রচুর উন্নতি হবে।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://bit.ly/2SpSl1W

February 12, 2019 at 11:45AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top