টয়ট্রেনে পাহাড় ভ্রমণে আপ্লুত বিদেশি পর্যটক দল   

শিলিগুড়ি, ১৯ ফেব্রুযারিঃ কেউ এসেছেন সুদূর ব্রিটেন থেকে, আবার কেউ এসেছেন অষ্ট্রেলিয়া থেকে। নিজের দেশে বিভিন্ন সন্মেলনে দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন সম্পর্কে শোনার পরেই তাকে নিয়ে সকলের মনে আলাদা ভালোবাসা জন্মায়। আর সেই টয়ট্রেনের টানেই তাঁদের ভারতে ছুটে আসা। ভিন্ন দেশের হলেও সকলের চাহিদা টয়ট্রেনে পাহাড় ভ্রমণ। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) বি-ক্লাস লোকোমটিভ হিমগিরিতে চেপে উৎফুল্ল বিদেশিদের ২৯ জনের ওই পর্যটক দল। পাহাড় ভ্রমণে এসে কেউ খেলেন ফ্রায়েড রাইস, নুডলস আবার কেউ খেলেন রসমালাই। খাবারে এতটাই মুগ্ধ যে ব্রিটেনের ক্যারন বলেই ফেললেন, ‘আই লাভ রসমালাই। আই নিড মোর।’

ডিএইচআরের প্রমোশনে একমাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেইমতো স্কুল পড়ুয়াদের শিক্ষামূলক ভ্রমণ, ডিএইচআরের ঐতিহ্যবাহী তিনধারিয়া ওযার্কশপ একমাস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। এরই মাঝে চার্টার্ড টয়ট্রেনে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওযার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ২৯ জনের বিদেশি পর্যকদের একটি দল। যাদের মধ্যে রয়েছেন ডিএইচআর সোসাইটির সদস্যরাও। সেইমতো শনিবার শিলিগুড়ি এসে পৌঁছায় ওই দলটি। রবিবার চার্টার্ড ডাইনিং কারে শিলিগুড়ি জংশন-রংটং ইভনিং জঙ্গল সাফারিতে যান তাঁরা। সোমবার সকালে ফের চার্টার্ড টয়ট্রেনে শিলিগুড়ি জংশন থেকে তিনধারিযা পর্যন্ত যায় ওই দলটি। পরিদর্শন শেষে ডিএইচআর নিয়ে নিজেদের মতামত জানাবেন ওই পর্যটকরা। তবে টয়ট্রেন চেপে যে উচ্ছ্বসিত তা তাঁদের আচরণেই স্পষ্ট। বৃষ্টি, ঠান্ডা উপেক্ষা করেই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় টয়ট্রেন থেকে নেমে ছবি তোলেন তাঁরা। বিভিন্ন স্টেশন এবং মিউজিয়ামের ইতিহাস জানার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। সোমবার তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনধারিয়া ওযার্কশপে। ওয়ার্কশপের ভেতরে ঢুকে ঐতিহ্যবাহী সমস্ত যন্ত্রাংশ দেখে অবাক হয়ে যান পর্যটকরা। ব্রিটিশ আমলের সমস্ত যন্ত্রাংশ এখনও চালু অবস্থায় দেখে ভারতীয় রেলের প্রশংসাও করেন ওই পর্যটকদলের সদস্যরা। মঙ্গলবার তিনধারিয়া থেকে ফের স্টিম লোকোতে চেপে দার্জিলিং যান পর্যটকেরা। কেমন লাগল তাঁদের ডিএইচআর? এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যারন বললেন, ব্রিটেনে ডিএইচআরের আদলে বিচেস লাইট রেলওযে রয়েছে। সেখানে ডিএইচআর নিয়ে অনেক কিছু শুনেছিলাম। যতটা শুনেছিলাম তার চাইতেও অনেক বেশি দিয়েছে ডিএইচআর। টয়ট্রেনে চাপতে আবার ভারতে আসব। তবে বাতাসিয়া লুপে ট্রেন আরও একটু সময় বেশি দাঁড়ালে ভালো হবে। ব্রিটেনের বাসিন্দা মাইকেল চ্যাপম্যানের কথায়, ‘ডিএইচআর ভ্রমণে আমি মুগ্ধ। এরপর পরিবার নিয়ে আসব।’ পর্যটন ব্যবসায়ী পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে ওনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে খুবই খুশি তাঁরা। আশা করি বারবার তাঁরা টয়ট্রেনের টানে ভারতে আসবেন।’

 



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2IqBtUt

February 20, 2019 at 01:58PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top