ধসায় আক্রান্ত আলুখেত, আশঙ্কায় ডুয়ার্সের চাষিরা

ডুয়ার্স ব্যুরো, ২৬ ফেব্রুয়ারিঃ আলুতে ধসা লাগায় ডুয়ার্সের চাষিরা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি ব্লকের কমবেশি ১৫০-২৫০ হেক্টর জমির আলু নাবি ধসায় আক্রান্ত হয়েছে। মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির কারণে এই নাবি ধসার আক্রমণ বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধসায় আক্রান্ত আলুখেত ঘুরে দেখেন। জেলার সহকারী কৃষি অধিকর্তা (শস্যরক্ষা) প্রিয়নাথ দাস বলেন, ‘ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর, রাজগঞ্জ, মাল ব্লকের অনেক জমিতে রোগের প্রকোপ রয়েছে। প্রকোপ কম রয়েছে মাটিয়ালি, নাগরাকাটা ব্লকে। যাঁরা ডিসেম্বরের শেষ দিকে আলু চাষ শুরু করেছেন, মূলত তাঁদের জমিতেই ধসায় আক্রান্ত হয়েছে। কোন কোন কীটনাশক স্প্রে করলে নাবি ধসা আটকানো যাবে সে বিষয়ে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।’ তবে আকাশ মেঘলা থাকলে বা বৃষ্টি হলে ধসার প্রকোপ আরও বাড়বে বলে প্রিয়নাথবাবু জানিয়েছেন।

সহকারী কৃষি অধিকর্তা (ব্যবস্থাপনা) ডঃ মেহফুজ আহমেদ বলেন, ‘নাবি ধসা থেকে গাছ বাঁচাতে ডাইমিথোমক এবং ফেলামিডন কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে সেচের জল, ইউরিয়া, চাপান সার প্রয়োগ করা যাবে না।’ প্রিয়নাথবাবু আরও বলেন, ‘সাতটি ব্লকে কতটা জমির আলু ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা জানার জন্য পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’ ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ৩১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে নাবি ধসা, পাতা মোড়ানো ছাড়াও আরও ভাইরাসঘটিত রোগের আক্রমণে আলু গাছের কিছু ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা না থামলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষি দপ্তরের।

একই অবস্থা আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের দক্ষিণ নারারথলি এলাকার কৃষকদের। ধসার কারণে এখানে ৮০ শতাংশ আলুর চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ নারারথলির চাষি পরেশ হালদার, নিখিল হালদারের পাঁচ বিঘা জমির আলু নষ্ট হয়েছে। আরেকজন চাষি শিবেন বর্মন বলেন, ‘লিজ নিয়ে আড়াই বিঘা জমিতে আলুচাষ করছিলাম। পুরোটাই ধসায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করছেন এমন কৃষকদেরও ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা সরকারি সহায়তার দাবি করেছেন।

কামাখ্যাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলেন ঠাকুর বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুমারগ্রাম ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা রাজীব পোদ্দার বলেন, ‘ধসার বিষযটি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরিদর্শনে যাব। খতিয়ে দেখে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হবে।’



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2GKTJpO

February 26, 2019 at 04:48PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top