ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- সান্ত্বনার জয় দিয়ে আসর শেষ করলো সিলেট সিক্সার্স। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় গুরুত্বহীন এ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে তারা হারাল ২৯ রানে। তবে এ হার প্লে-অফ নিশ্চিত করা চিটাগংয়ের জন্য বেশ ভারীই হচ্ছে। কারণ, এতে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ের মধ্যে থাকার স্বপ্নও তাদের শেষ হয়ে গেল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা সিলেট সিক্সার্স ভালোই দাপট দেখিয়েছে। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের হাফ সেঞ্চুরি এবং সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে সিলেট। জবাবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও ১৩৬ রানে শেষ হয় আগেই শেষ চার নিশ্চিত করা চিটাগংয়ের ইনিংস। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৩ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল ও ক্যামেরন দেলপোর্টকে হারায় চিটাগং ভাইকিংস। ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মিলে এই চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। দুজনেই বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু ৪৫ রানের মাথায় জেসন রয়ের অতি মানবীয় ফিল্ডিংয়ে বিদায় নিতে হয় ইয়াসিরকে। উড়ন্ত বলাকার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ২৭ রান করা ইয়াসিরের তোলা ক্যাচ সীমানার কাছ থেকে তালুবন্দী করেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার। এরপর মুশফিক ও মোসাদ্দেক হোসেন কেবল চিটাগংয়ের হয়ে ব্যাট চালাতে পেরেছেন। যদিও দলকে জেতাতে পারেননি তারা। মোসাদ্দেক ১৫ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ রান করেন। অধিনায়ক মুশফিক ৩২ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে ৮ বলে একটি চার ও একটি ছক্কার ঝড়ো গতির ১৫ রান করেন হার্ডাস ভিলজোয়েন। সিলেটের পেসার এবাদত হোসেন ১৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া ওয়েইন পার্নেল ২টি এবং তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ ও অলোক কাপালি একটি করে উইকেট নেন। এরআগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট সিক্সার্সের শুরুটা ভালো না হলেও দলকে চাপ বুঝতে দেননি আন্দ্রে ফ্লেচার। দলীয় ১৪ রানে ফিরে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব। টিকতে পারেননি জেসন রয়ও। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ইংলিশ ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুটি উইকেটই নেন চিটাগংয়ের প্রোটিয়া পেসার হার্ডাস ভিলজোয়েন। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও বিপাকে পড়তে হয়নি সিলেটকে। তৃতীয় উইকেটে ফ্লেচারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাব্বির রহমান। এই জুটি দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেয়। সাব্বিরের বিদায়ে ভাঙে ৬৫ রানের এই জুটি। ফেরার আগে ২৫ বলে ২টি চার ২টি ছক্কায় ৩২ রান করেন সাব্বির। তখনো অন্যপাশে অবিচল সিলেটের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ফ্লেচার। মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে এগোতে থাকেন সিলেটের হয়ে সবচেয়ে লম্বা ইনিংস খেলা ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান। এই জুটি থেকেও ৫১ রান পায় সিলেট। নওয়াজ ১৯ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ঝড়ো গতির ৩৪ রান করেন। ১৯তম ওভারে আউট হওয়া ফ্লেচার ৫৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। চিটাগংয়ের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন ভিলজোয়েন। বাকি উইকেটটি নেন তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান। এমএ/ ০১ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WBtqqA
February 02, 2019 at 05:12AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন