ফাঁসিদেওয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারিঃ একসময় লেধাইমারি নদীতে স্রোত ছিল। ভরা নদীতে বাসিন্দারা স্নান করতেন। এহেন লেধাইমারি নদী এখন অস্তিত্বসংকটে। শ্যাওলা, কচুরিপানায় ঢেকে গিয়েছে জল, আবর্জনায়। পশুপাখির মৃতদেহ নদীর জলে ফেলার কারণে গভীরতা কমে যাচ্ছে, জল দূষিত হয়ে পড়েছে। একদিকে কিছু বাসিন্দাদের অসচেতনতা, অন্যদিকে জমি ব্যবসায়ীদের কুনজর মূলত এই দুটি কারণেই লেধাইমারি নদীটি সংকটে রয়েছে। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কালাস নিজামতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিরামজোত মৌজা হয়ে নদীটি মহানন্দায় গিয়ে মিশেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নৌশাদ মহম্মদ বলেন, ‘বাড়িতে ব্যবস্থা থাকলেও কয়েশো মিটার হেঁটে নদীতে স্নান করতে যাওয়া আমার অভ্যাস। অথচ এই নদী এখন দূষিত। স্নান করার জন্য পরিষ্কার জল আর নেই।’ শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা হাতিরামজোত মৌজায় বেশ কয়েক বিঘা জমি কিনেছেন। অভিযোগ, সেই জমিতে যাতায়াতের জন্য নদীর উপর একটি কালভার্ট বানাতে শুরু করেছিলেন তিনি। এতে নদীর গতিপথ ঘুরে যাওয়ার আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে এই কাজটি বন্ধ করে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দ্রমোহন রায় বলেন, ‘সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই হাতিরামজোত মৌজায় নদীবক্ষে একটি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। পরে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মজনু মহম্মদ অবশ্য বলেন, ‘খতিয়ানভুক্ত জমির উপরেই কালভার্টটি তৈরি হচ্ছিল। কালভার্টের কাজ কেউ বন্ধও করেনি। জমির মালিক নিজেই কাজ বন্ধ রেখেছেন।’ ফাঁসিদেওয়ার বিএলআরও ললিতরাজ থাপা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহমজুমদার বলেন, ‘নদীটির অবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2SsjQTP
February 26, 2019 at 04:57PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন