ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি- রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আর মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বাকরূদ্ধ। শোকে মুহ্যমান। ব্যক্তি ও কর্ম জীবনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও এ তিন দেশ বরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব আজ (বুধবার) বিকেল নামতেই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে। শুধু তারা নন, বুধবার ঘড়ির কাঁটা বিকেল তিনটা স্পর্শ করার সাথে সাথে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাইনুল হক মাইনু, ওয়াহিদুল গনি, ইশতিয়াক আহমেদ, তারিকউজ্জামান মুনির এবং গোলাম ফারুক সুরুর দেখা মিললো। এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার বর্তমান বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস, নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, বোর্ড পরিচালক হানিফ ভুঁইয়া, সাবেক ক্রিকেটার ও সংগঠক আলী আহসান বাবু, ক্রিকেটার মীর জিয়াউদ্দীন শোভনসহ ক্রিকেট তথা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের শতাধিক পরিচিত মুখ দেশের ক্রীড়াকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম লাগোয় ক্রীড়া পরিষদে এসে হাজির। দেখা মিললো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের দুই বর্ষিয়ান ব্যক্তিত্ব রাইসউদ্দীন আহমেদ ও আনিসুর রহমানেরও। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষ ও নিবেদিতপ্রাণ সংগঠকের হাত ধরে সূচিত হয়েছিল দেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা, তাদের অন্যতম জেষ্ঠ্য সদস্য রাইস উদ্দীন আহমেদ (বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি) আসলেন লাঠি ভর করে। সাথে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম সচিব আনিসুর রহমানও বার্ধক্য জনিত শারীরিক অন্তরায়কে উপেক্ষা করেও চলে এসেছিলেন এনএসসি ভবনে। এছাড়া ভলিবল ফেডারেশনের সাবেক সহ-সভাপতি জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবীদ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ওয়েট লিফটিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার মহিউদ্দীন আহমেদ, বাফুফের নির্বাহী সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল, সাইক্লিংয়ের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ, ট্রেজারার সাজু, সাবেক দেশ বরেণ্য নারী ক্রীড়াবীদ রাজিয়া সুলতানা অনু, কামরুন্নাহার ডানা, বাস্কেটবলের সাবেক জাতীয় কোচ মাহতাবুর রহমান বুলবুল এবং ক্রিকেট পাড়ার অনেক পরিচিত মুখের নীরব মিলনমেলা হলো আজ এনএসসি ভবনে। জাতীয় দল আজ দিবাগত রাত শেষে কাকডাকা ভোরে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে। অন্যদিকে বৃষ্টির চোখ রাঙ্গানির মধ্যেও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি লিগ চলছে শেরে বাংলা ও ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে। তাহলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হঠাৎ কি এমন হলো যে, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, অ্যাথলেট, কোচ ও সংগঠকদের মিলনমেলা ঘটে গেলো? এতসব দেশ বরেণ্য ক্রিকেটার, কোচ ও সংগঠকরাই বা কেন এসে উপস্থিত হলেন এখানে? খুব জানতে ইচ্ছে করছে তাই তো? তাহলে শুনুন, ওপরে যাদের কথা বলা হলো, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও তারা সবাই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মশালের গেটের উত্তর দিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের নীচ তলায় এসে হাজির হয়েছিলেন দেশ বরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলতাফ হোসেনের জানাজায় অংশ নিতে। স্বাধীন বাংলাদেশে যিনি ছিলেন প্রথম ক্রিকেট কোচ। বাংলাদেশের ক্রিকেট উত্থানে যার অবধান ভুলবে না এদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সব্যসাচি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলতাফ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার রাত বারোটার কিছু আগে ইহলোক ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঠিক অচেনা বা অজানা নয়, বর্তমান প্রজন্মের কাছে সৈয়দ আলতাফ হোসেন খুব বেশি পরিচিতও নন। এখন যারা ক্রিকেট ভক্ত, অনুরাগি ও অনুসারী- তারাও হয়তো সৈয়দ আলতাফ হোসেনকে ঠিক সেভাবে চেনেন না। তার কথা জানেন না। জানলেও অল্প বিস্তর। কে ছিলেন এই সৈয়দ আলতাফ হোসেন? বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে তার সম্পৃক্ততাই বা কি? বুধবার পড়ন্ত বিকেলে সৈয়দ আলতাফ হোসেনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বেদনা ভারাক্রান্ত কন্ঠে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, কি আর বলবো? আলতাফ ভাই হচ্ছেন আমাদের অগ্রজ। কখনো অভিভাবক। কখনো বড় ভাই। কোন কোন সময় সহযোগি। শিক্ষক, মেন্টর আবার কখনো সংগঠক, ব্যবস্থাপক। একসাথে তদাদীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে কায়েদ-ই আজম ও আইয়ুব ট্রফি (পাকিস্তান আমলের দুই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আসর) খেলেছি। তিনি শুধু দলের সিনিয়র মেম্বারই ছিলেন না। আমাদের অভিভাবকও ছিলেন। মাঠ ও তার বাইরে আমাদের দেখভালের কাজটি করতেন আন্তরিকতার সাথে। দেশে ও বাইরে খেলতে গিয়ে কখন কার কি লাগবে? সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর থাকতো আলতাফ ভাইয়ের। একবার খেলতে গিয়ে আমার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে গিয়েছিল। আলতাফ ভাই সুই সুঁতো দিয়ে আমার বোতামও লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আলতাফ ভাই ছিলেন আপাদমস্তক বিনয়ী। একজন নিপাট ভদ্রলোক। অগ্রজপ্রতিম রকিবুল হাসানের কন্ঠেই সুর মেলালেন জাতীয় দলের অপর দুই সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফুল লিপু ও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলে উঠলেন, আলতাফ ভাইয়ের কথা কি বলবো? আসলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ বা এখন যে হাতে গোনা কজন নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষের আন্তরিক চেষ্টার ফসল- আলতাফ ভাই তাদের অন্যতম। আহ কি নিবেদিতপ্রান মানুষ ! ক্রিকেট যার প্রথম ভাললাগা। ভালবাসা। আমরাই শুধু না , আমাদের পূর্বসুরীরাও কোনো না কোনভাবে আলতাফ ভাইয়ের কোচিংয়ে খেলেছি। ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনী, ধানমিন্ডর হয়ে খেলার সময় কোচ হিসেবে আলতাফ ভাইকে পাইনি। তবে ১৯৮০-১৯৮১ সালে প্রথম জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে গিয়ে আলতাফ ভাইকে কোচ হিসেবে পেয়েছি। শতভাগ আন্তরিক এ ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষটি নিজের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিতেন। আজকালতো বহু সুযোগ সুবিধা। বিশ্ব মানের প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ। তখন এর কিছুই ছিল না। অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাও ছিল খুব কম। এর মধ্যেও আলতাফ ভাই আমাদের স্কিল উন্নত করতে কি প্রাণান্ত চেষ্টাটাই না করতেন! গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর শেষ কথা, আসলে এ দেশে ক্রিকেট কোচিংয়ের পাইওনিয়ার বলা যায় আলতাফ ভাইকে। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর স্মৃতিচারণমূলক কথোপকোথনে সেই কথাই ধ্বনিত হলো, আমরাতো ক্রিকেট কোচ বলতেই শুনেছি আলতাফ ভাইয়ের নাম। এদেশে ৭০ ও ৮০র দশকে যত ক্রিকেটার ভাল পারফরমার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই কোন না কোন সময় আলতাফ ভাইয়ের অধীনে কোচিং করিয়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ না পেলেও ৭০ এর দশকের শেষ দিকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে বেশ কবার ডাক পাওয়া জালাল ইউনুস আলতাফ হোসেনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলে উঠলেন, ইস! আলতাফ ভাই যে কত ওপরে হাই ক্যাচ দিতেন! বলে বোঝাতে পারবো না। শরীরে অসম্ভব শক্তি ছিল। তাই ফিল্ডিং ও হাই ক্যাচ প্র্যাকটিসে অনেক উঁচুতে মেরে ক্যাচ প্র্যাকটিস করাতেন। আলতাফ হোসেনের ওই হাই ক্যাচ প্র্যাকটিস করানোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একটি গল্প শোনান জানান , আলতাফ ভাই অনেক উচুতে হাই ক্যাচ দিতে পারতেন। তা দেখে একবার আমাদের এক সিনিয়র ক্রিকেটার বলেছিলেন , আলতাফ ভাই আপনি এত ওপরে বল তোলেন যে বল প্রায় দেখাই যায় না। আপনার মারা বল এত ওপরে যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ঠিক পাশের ২৪ তলা (শিল্প ভবন) বিল্ডিংয়ের প্রায় কাছাকাছি উঠে যায়, এত ওপরে মারার চেয়ে আপনি বরং ঐ ভবনের ছাদ থেকে বল নীচে ফেলে ক্যাচ দেন আমাদের। সেই ৭০-এর মাঝামাঝি থেকে শেষ অবধি জাতীয় দলে খেলা দুই সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মাইনুল হক মাইনু (সাবেক প্রধান নির্বাচক) ও এনায়েত হোসেন সিরাজও (বর্তমান বোর্ড পরিচালক ও বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির প্রধান) বললেন, শুধু আকাশে উঠিয়ে হাই ক্যাচ দেয়াই নয়, আলতাফ ভাই যে কি জোরে জোরে ক্যাচ প্র্যাকটিস করাতেন, উফ! হাত ব্যাথা হয়ে যেত। দেশ প্রসিদ্ধ সব সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের কথোপকোথনেই নিশ্চয় জেনে গেলেন, আলতাফ হোসেন ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তিন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের গুরু। প্রশিক্ষক ও অভিভাবক। একদম ৭০ দশকের শুরু থেকে বর্তমান শতাব্দীর একদম প্রথম বছর অবধি প্রায় আড়াই যুগ ক্লাব ক্রিকেটে কোচিংয়ের পাশাপাশি জাতীয় দলের প্রশিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন আলতাফ হোসেন। এ ক্রিকেট গড়ার অনুপম কারিগর ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ডিগ্রিধারি কোচ। ভারতের পাতিয়ালার বিখ্যাত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস থেকে ১৯৭৪-১৯৭৫ সালে কোচিংয়ের ওপর বিশেষ ডিপ্লোমা করে আসা আলতাফ হোসেনই বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রথম প্রথাগত কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। পাতিয়ালা থেকে ট্রেনিং করে আসার পর শুরু হয় কোচ আলতাফ হোসেনের নতুন জীবন। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট ২৫ বছর বিভিন্ন সময় জাতীয় দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্বে পালন করেছেন। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারকে উন্নত করার চেষ্টায় সদা সচেষ্ট সৈয়দ আলতাফ হোসেন এরপর ১৯৭৯ সালে ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসের ক্রিকেট মাঠে বিশ্ববিখ্যাত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসির) অ্যাডভান্স ট্রেনিং করেছেন। সেই ৬০ দশকের শেষ ভাগে ক্যারিয়ার শুরু করা এবং ৭০-এর মাঝামাঝি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত তারকা রকিবুল হাসান, এনায়েত হোসেন সিরাজ, শফিকুল হক হীরা, ইউসুফ ভাই, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ, ওমর খালেদ রুমি, মাইনুল হক মাইনু, আশরাফুল হক, এনায়েত হোসেন সিরাজ থেকে শুরু করে ইশতিয়াক আহমেদ, সামিউর রহমান সামি, জালাল ইউনুস, আহমেদ ইকবাল বাচ্চু, সদরুল আনাম, আনোয়ারুল আমিন আজহার, ৮০-র দশকের গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, নেহাল হাসনাইন, গোলাম নওশের প্রিন্স, গোলাম ফারুক সুরু, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আকরাম খান এমনকি খালেদ মাহমুদ সুজন, ইমরান হামিদ পার্থ, মীর জিয়াউদ্দীন শোভনরাও সৈয়দ আলতাফ হোসেনের সান্নিধ্য পেয়েছেন। ছাত্র হয়েছেন। নিজেকে উন্নত করেছেন। তার পরামর্শ, পরিচর্যায় প্রতিষ্ঠিতও হয়েছেন। সব্যাসাচি ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব আলতাফ হোসেনের খেলোয়াড়ি জীবনও কিন্তু কম বর্নাঢ্য নয়। ১৯৫৪ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত টানা ২৮ বছর ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এদেশের এক সময়ের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় ক্রীড়া শক্তি ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের হয়ে। ছয় ফুটের ওপরে লম্বা আর সুঠামদেহী আলতাফ হোসেন খেলোয়ড়ী জীবনের শুরুতে ছিলেন পেস বোলার। ক্যারিয়ারের প্রায় প্রথম থেকেই বোলিংয়ের সূচনা করতেন। সময়ের প্রবাহমানতায় ব্যাট হাতেও ওপেন করতেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে তদানিন্তন পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কায়েদ-ই আজম ও আইয়ুব ট্রফি খেলেছেন। পেস বোলার আলতাফের সামনে ছিল টেস্ট খেলার হাতছানি। রকিবুল হাসানের আগে প্রথম বাঙ্গালি ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের পুরো দস্তুর টেস্ট দলে জায়গাও হয়েছিল তার। ১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডে প্রথম বাঙ্গালি ক্রিকেটার হিসেবে দলভুক্ত হয়েছিলেন আলতাফ হোসেন। এছাড়া ক্লাস কোচিং ক্যারিয়ারের বড় সময় তিনি ছিলেন ঢাকার ক্রিকেটের এক সময়ের ক্রিকেট জায়ান্ট বাংলাদেশ বিমানের কোচ। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলেরও ছিলেন অগ্রদূত। বাংলাদেশের নারীরা এখন বিশ্বকাপও খেলছে। অথচ সেই স্বাধীন বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল আলতাফ হোসেনের হাত ধরেই। ১৯৭৫-৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন বিদ্যাপীঠের ছাত্রীদের নিয়ে এক অনুশীলন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন আলতাফ হোসেন। সেই দল ৭০ দশকের মাঝামাঝি ভারতের কলকাতায় খেলতে গিয়েছিল আলতাফ হোসেনেরই কোচিংয়ে। সে অর্থে তিনি পুরুষদের মত নারী ক্রিকেটারদেরও অভিভাবক।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SxNhUJ
February 28, 2019 at 03:27AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top