কলকাতা, ০৪ ফেব্রুয়ারি- সারদাকাণ্ডের তদন্তে এবারে ঘুরিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলল বিজেপি। রবিবার রাজীব কুমারকে নিয়ে তুলকালাম কাণ্ডের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর প্রশ্ন তুললেন, রাজীব কুমার কী এমন জানেন যে, তাঁকে আড়াল করতে ধরনায় বসতে হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালানোর চেষ্টা করতেই রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত চরমে পৌঁছয়। সিবিআই অফিসারদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। রাজীবের বাড়িতে সিবিআই হানাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং সিবিআই-এর অপব্যবহার বলে অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেছেন রাহুল গাঁধী-সহ প্রায় সব বিরোধীরা। এর পালটা এ দিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মমতা কী লুকোতে চাইছেন, কাকে বাঁচাতে চাইছেন? এখনও পর্যন্ত কুণাল ঘোষ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল, মদন মিত্র, সৃঞ্জয় বসুর মতো এতজন তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের বেলায় তো মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসেননি। তা হলে পুলিশ কমিশনারের কাছে এমন কী তথ্য রয়েছে যে, তা আড়াল করতে মমতা প্রাণপাত করছেন, রাস্তায় বসে গিয়েছেন মানুষ জানতে চাইছে। চিট ফান্ডের মালিক যে লাল ডায়েরি আর পেন ড্রাইভের কথা বলেছিলেন, সেগুলোকেই কি বাঁচাতে চাইছেন? তিনি কি তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া থেকে পালাতে চান? তিনি কাকে বাঁচাতে চাইছেন, পুলিশ কমিশনারকে, নাকি নিজেকে? জাভড়েকরের আরও দাবি, যে ভাবে সিবিআই অফিসারদের পুলিশ আটক করেছে, তা গণতন্ত্রকে হত্যার সামিল। এটা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। মমতার রাজত্বে বাংলায় জরুরি অবস্থা চলছে, গোটা দেশে নয়। মমতাকে সমর্থনের জন্য বিরোধীদেরও বিঁধেছেন প্রকাশ জাভড়েকর। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যাঁরা মমতাকে সমর্থন করছেন, তাঁদের অধিকাংশ হয় জামিনে মুক্ত, নয়তো বিচার চলছে। এটা দুর্নীগ্রস্তদের মহাজোট, যাঁরা মমতাকে সমর্থন করছেন। মমতা কাল দেশের পুলিশ, সেনা, বিএসএফ-কে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উসকেছেন। এটা গণতন্ত্রের হত্যা নয়তো কী?



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2GmCZnV
February 04, 2019 at 08:45PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top