টরন্টো, ২৬ ফেব্রুয়ারি- ভাষার জন্যে যারা দিয়ে গেলো প্রাণ , ভুলিনি আমরা , ভুলিনি আমরা ... সত্যিই আমরা ভুলতে পারিনি সেই সব বীর সেনাদের যাঁরা অকাতরে প্রাণ করে গেছেন দান বাংলাকে মাতৃভাষা -বাংলাকে মুখের ভাষার মর্যাদা আদায়ের প্রয়াসে বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারী। শহীদের রক্তে রাঙা একুশ তাইতো এক গভীর অনুভূতির নাম মনের গোপন মনিকোঠায় সদা জাগ্রত এক চেতনার নাম। সে সতত জাগ্রত চেতনাকে বুকে ধারণ করে শহীদের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনার্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েসন অব কানাডা একুশের প্রথম প্রহরে টরোন্টস্থ অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং বিগত ২৩শে ফেব্রুয়ারী ডেনফোর্থস্থ মিজান কমপ্লেক্সের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করে। পড়ন্ত বিকেলের কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানস্থল কানায় কানায় পূর্ন হয়ে উঠে দূরদূরান্ত থেকে আগত বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকবৃন্দ এবং তাদের পরিবারের উপস্থিতিতে। অল্পক্ষনের মধ্যেই হলরুম পরিণত হয় প্রানের এক মিলন মেলায়। সংগঠনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সংগঠক তাপস ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় প্রথমেই বায়ান্নের শহীদের এবং সম্প্রতি ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর একনলেজমেন্ট অফ ল্যান্ড পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ ফকরুদ্দীন। দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মূর্ছনায় হলঘর ক্ষনিকের জন্যে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী দিয়ে শুরু হয় অনুষ্টানের প্রথম পর্ব আলোচনা সভার। একুশের চেতনা এবং আমাদের করণীয় - আর উপর জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় অংশগ্রহন করেন যথাক্রমে সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিশিষ্ট সংগঠক আমিন মিয়া এবং সংগঠনের সদ্য বিদায়ী সভাপতি, নির্ভীক এবং পরিশ্রমী নেতা সময় পাল। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং নতুন প্রজম্মের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা এবং সিনিয়র সহসভাপতি অনুপ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় এই পর্বে ছিল দেশের গান , কবিতা আবৃত্তি এবং নাচ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আগত সব দর্শকের মন কেড়েছে। গানে অংশ নেন নতুন প্রজম্মের শিল্পী তিথি ভট্টাচার্য্য , অরুনিমা চক্রবর্তী , তনুশ্রী ভট্টাচার্য্য , কাজী আরমানি ওয়ার্দা , সাদমান বুনন , অহনা চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মারুফ হোসেন , সুলতান নাহিদ খান সিরাজী , মেহজাবিন বিনতে ওসমানী, মুখটা পাল এবং অথিতি শিল্পী হিসাবে গান পরিবেশন করেন সংগীতা মুখাৰ্জী। সমবেত সংগীতে অংশ নেন কানিজ, মাহমুদ, অনিতা পাল,সাজ্জাদ , হুমায়ন , মেহজাবিন, সিরাজী, অনুপ এবং আব্দুল বাসিত। আবৃত্তিতে অংশ নেন রেশমিয়া নুজহাত নাজা , মুনিরা সুলতানা মিলি (স্বরচিত ), তানভী হক, শরিফা কামাল মসি , হুমায়ুন কবির এবং আব্দুল বাসিত। নাচে অংশ নেন নতুন প্রজম্মের অরিত্রি ভট্টাচার্য্য। ওরা আমার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায় ..... সমবেত সংগীতের পরপরই অনুষ্টানের দ্বিতীয় পর্বের সমাপ্তি হয়। পরিশেষে সভার সভাপতি সংগঠনের পরীক্ষিত অকুতোভয় সৈনিক বিশিষ্ট সংগঠক বাহাউদ্দীন বাহার আগত সবাইকে তাদের উপস্থিতি এবং সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।সেই সাথে যারা আর্থিক সহোযোগিতা দিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি যারা পর্দার অন্তরালে থেকে অনুষ্ঠানের সফলতার জন্যে নিরলস কাজ কৰে গেছেন, বিশেষ করে আ ম ম তোহা , নাজমুল মুন্সী, সারওয়ার জামান , বিশ্বজিৎ পাল , রফিক , শেখ জসিম , হাসান তারিক, আজম মিয়া , খোরশেদ খান , দেবরাজ, তানভীর , এবং সমর পালকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সবাইকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আর/১২:১৪/২৬ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2tDZNI1
February 27, 2019 at 05:52AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top