বিশ্বনাথে একমাসেও অধরা পুলিশের উপর হামলাকারীরা

 

004-4বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের উপর হামলাকারী কুখ্যাত মাদক কারবারী, পুলিশের সোর্স সুহেল মিয়া ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকে মনে করছেন, পুলিশের সোর্স হওয়ায় সুহেল ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারে তেমন একটা আন্তরিক নয় পুলিশ। এদিকে, তারা গ্রেফতার না হওয়ায় আতংকে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বে দায়ের করা মামলার বাদী কলেজছাত্রী তাসলিমা ও তার পরিবার।

জানা গেছে, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার পূর্বপাড়া (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত আহমদ আলী ওরফে ছাবাল শাহ’র মাজারকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও জুয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে তার প্রথমপক্ষের পুত্র আশিক নুর ও নিকটাত্মীয় কুখ্যাত মাদক কারবারী একই গ্রামের মৃত করিম বক্সের পুত্র সুহেল মিয়া। এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে ছাবাল শাহ’র দ্বিতীয়পরে একমাত্র মেয়ে কলেজছাত্রী তাসলিমা আক্তার প্রতিবাদী ও প্রশাসনের দারস্থ হওয়ায় গত বছরের ১৯ জুলাই তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তার স্বর্ণালঙ্কার, বই ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় সুহেল, আশিক নুর এবং তাদের সহযোগিরা। এ ঘটনায় একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সুহেল-আশিকসহ ৫জনের নামোল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেয় তাসলিমা। রহস্যজনকভাবে দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১০ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার এটি মামলা (নং-৯) হিসেবে রেকর্ড করা হয়। অইদিনই মামলার প্রধান আসামী সুহেলকে গ্রেফতার করতে সাদাপোষাকে মাত্র ৩জন কনস্টেবল নিয়ে স্থানীয় বৈরাগীবাজারের একটি হোটেলে অভিযান চালান এসআই সবুজ কুমার নাইডু। এসময় সুহেল ও তার সহযোগিদের হামলার শিকার হন চার পুলিশ সদস্যই। এ ঘটনায় এসআই সবুজ কুমার নাইডু বাদী হয়ে অই রাতেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এসল্ট মামলা (নং-১০) দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫/১৬জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে জাকির ও কয়ছর নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তবে, ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও হামলার মূল হোতা সুহেল ও তার অপর সহযোগিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা গ্রেফতার না হওয়ায় আতংকে রয়েছে কলেজছাত্রী তাসলিমা আক্তার ও তার পরিবার।

তাসলিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা খুবই আতংকের মধ্যে আছি। প্রতি রাতেই কে বা কারা আমার বসত ঘরের আশপাশে ঘোরাফেরা করে।’ তাসলিমা আরও জানান, ‘৭ মাস পেরিয়ে গেলেও আমার লুট হওয়া মালামাল এখনও উদ্ধার হয়নি।’

এসল্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আত্মগোপনে থাকা সুহেল পুলিশের সোর্স হওয়ায় বারবার কৌশল পাল্টাচ্ছে। যে কারণে তাকে ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে, তাদেরকে ধরব আশা করি।’

থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাই গ্রেফতার করা যায়নি। তবে, তাদেরকে গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://bit.ly/2ShKDXC

February 09, 2019 at 12:11AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top