কলকাতা, ০৯ ফেব্রুয়ারি- রাজীব কুমার কাণ্ডের জের৷ নিরাপত্তা বাড়ানো হল ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির৷ তাঁর হরিশ মুখার্জী রোডের বাড়ির সামনের নিরাপত্তা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে৷ ইংরেজি সংবাদপত্র হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযাই এই খবর জানা গিয়েছে৷ সারদা তদন্তে রাজ্য সরকার গঠীত সিটের প্রধান রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা৷ আইপিএস রাজীব বর্তমানে কলকাতার নগরপাল৷ সিবিআই আধিকারীকদের এই অভিযানকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশ-সিবিআই দ্বন্দ্ব শুরু হয়৷ কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে পোঁছয়৷ হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযাই গত রবিবার ওইঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আঁটোসাঁটো করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বাড়ির নিরাপত্তা৷ রিপোর্ট অনুযাই এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাঁরা আগে কখনও অভিষেকের বাড়ির সামনে নিরাপত্তার এত তোড়জোড় দেখেননি৷ গত ৩ তারিখের ঘটনার পরপরই বাড়তি পুলিশ ঘিরে ফেলে সাংসদের বাড়ি৷ বশ অনেকগুলি পুলিশের গাড়িও এসেছিল৷ পুলিশের সেই উদ্যোগ ছিল বেশ হতবাক করা৷ বোঝাই যাচ্ছিল যখন তখন যা কিছু হতে পারে, এমনটাই যেন আঁচ করতে পেরেছিল লালবাজার৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তার কথা অনুযাই, এমনিতেই দক্ষিণ কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বাড়ি কঠোর নিরপত্তা বলয়ে মুড়ে রাখা হয়৷ ২৪ ঘন্টাই ছয় জন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে থাকেন বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী কুইক রেসপন্স টিম ও তার সশস্ত্র দুটি গাড়িও৷ হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযাই, সারদা বা নারদাকাণ্ডে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ পাওয়া যায়নি৷ এই দুটি কেলেঙ্কারিরই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ তৃণমূলের অভিযোগ দলের যুব নেতার নাম জোর করে এইসব কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত করতে তৎপর বিজেপি৷ সিবিআই চলছে গেরুয়া শিবিরের নির্দেশেই৷ জানা গিয়েছে, ১২ পাতার এফআইআর-এ নাম রয়েছে অভিষেকের৷ ছয়বার তাঁর নাম রয়েছে সেখানে৷ কিন্তু একবারের জন্যও তৃণমূল যুব সভাপতিকে অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা নেই৷ প্রসঙ্গত, কলকাতার নগরপালের বাড়িতে সিবিআইয়ের অভিযানের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেন মুখমন্ত্রী৷ প্রায় তিন দিন সেই ধর্না চললেও প্রথমদিকে তাঁকে দেখা যায়নি৷ শুরু হয় গুঞ্জন৷ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে অবশ্য একবারের জন্য মঞ্চে আসেন তিনি৷ কিছুক্ষণ থেকে চলে যান৷ বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও কেন আন্দোলনের শুরু থেকে যুক্ত হলেন না অভিষেক? কোন কিছুর ভয়েই কি এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ অনেকেই মনে করছেন, ভোটের আগে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় হবে সিবিআই৷ বিরোধী জোটকে দুর্বল করতে বাংলায় বিজেপির টার্গেট মমতা৷ তাঁকে কিছু করা সম্ভব না হলে অভিষেককেই নজরে রেখেছে মোদী-শাহ জুটি৷ রাজ্যের শাসক শিবির মনে করছে রাজীবকাণ্ডের সূত্র ধরে সিবিআই অভিষেকের কাছে পৌঁছতে পারে৷ এই অবস্থায় তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিষেকের বাড়ির ত্রিসীমানায় ঢোকা আটকাতেই বিশাল নিরাপত্তার আয়োজন লালবাজারের৷ এইচ/২১:২৯/০৯ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2GAhrnB
February 10, 2019 at 03:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন