দেড় মাস দেখা নেই শচীনের, উঠছে প্রশ্ন

শিলিগুড়ি, ১৭ ফেব্রুযারিঃ দেড় মাস ধরে দেখা মিলছে না বেঙ্গল সাফারির চিতাবাঘ শচীনের। কেন তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কী এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেনি শচীন, প্রশ্ন বেঙ্গল সাফারিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, বড় গাছগুলি এখনো কাটা হযনি। সেজন্যই শচীনকে এনক্লোজারে ছাড়া হচ্ছে না। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ অনেকেই। তাদের প্রশ্ন, তাহলে কী ভাবে শীতল বা কাজলকে চিতাবাঘ সাফারির জন্য ছাড়া হচ্ছে। এদিকে, একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এনক্লোজারের ভেতর কোনো মনিটরিং হচ্ছে না। ফলে যে কোনো দিন শচীনের পথ ধরে নিরুদ্দেশ হতে পারে অন্য চিতাবাঘরাও।

নতুন বছরের প্রথম দিন শচীনের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার ঘটনার থেকেও শিক্ষা নেয়নি বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ। কেননা এখনও চিতাবাঘ এনক্লোজারের ভিতরে থাকা বড় গাছগুলি কাটা হয়নি। পাশাপাশি বন্ধ হযে গিয়েছে এনক্লোজারের ভেতরে চিতাবাঘের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা। ফলে শীতল, কাজল, সৌরভরা এনক্লোজারের ভিতর কখন কোথায় রয়েছে, তা জানা যাচ্ছে না। এর ফলে যে কোনো দিন ১ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কিন্তু দেড় মাস হয়ে গেলেও কেন গাছগুলি কাটা সম্ভব হচ্ছে না? বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর রাজেন্দ্র জাখরের বক্তব্য, গাছগুলি কাটার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। তা পাওয়া গেলেই বড় গাছগুলি কেটে ফেলা হবে। এই কারণেই শচীনকে এনক্লোজারের ভিতর ছাড়া হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন। যদিও তা মানতে চাইছেন না অনেকেই। কেননা ৪ জানুযারি যখন শচীনকে পাওয়া গিয়েছিল, সেসময় বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, শারীরিক অসুস্থতার জন্য দু-তিনদিন তার চিকিৎসা চলবে। এরপরেই শচীনকে ছাড়া হবে এনক্লোজারে। কিন্তু দেড় মাস পার হওয়ার পরও সুস্থ হয়নি সে।

বেঙ্গল সাফারিতে এসে বর্তমানে অনেকেই শচীনের খোঁজ করেন। সাফারির জন্য তাকে ছাড়া হয়েছে কিনা, তা জানতে চান তাঁরা। যথারীতি হতাশ হতে হয়। দেশবন্ধুপাড়ার দিপাবলী বিশ্বাস, শালুগাড়ার অনিত গুরুংদের মতো বেঙ্গল সাফারিতে ঘুরতে আসা অনেকেই মনে করছেন, এখনও পুরোপুরি সুস্থ না হওযার জন্যই শচীনকে এনক্লোজারে ছাড়া হচ্ছে না। এদিকে সাফারি কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, আপাতত কিছুদিন ধরে ছোটো ঘর এবং নাইট স্ক্রলে রাখা হচ্ছে শচীনকে। এদিকে, একসময় এনক্লোজারে একসঙ্গে দুটি চিতাবাঘ রাখা হলেও এখন সৌরভ, শীতল এবং কাজলের মধ্যে একটিকেই রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বড় হযে উঠছে আরও তিনটি চিতাবাঘ। কিছুদিনের মধ্যে সাফারিতে যুক্ত করা হবে তাদেরও।

ছবিঃ ফাইল চিত্র



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://bit.ly/2XbG3t5

February 18, 2019 at 12:33PM
18 Feb 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top