কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি- কলকাতার পরবর্তী পুলিশ কমিশনার কে হবেন? আগামী ১৯ মে পুলিশ কমিশনার পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাজীব কুমারের। তবে তার আগেই রাজীব কুমারকে কমিশনার পদ থেকে সরাতে হবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো চিটফান্ড নিয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলেও ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারবে না রাজীব কুমারকে। মাঝে আর একদিন। কী বলবে সুপ্রিম কোর্ট, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে মুখ পুড়বে রাজ্যের। তবে তার আগেই পরবর্তী পুলিশ কমিশনারকে বেছে ফেলতে চায় নবান্ন। গত ১৬ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়, নির্বাচনের কাজে যুক্ত কোনও অফিসার নিজের জেলায় কর্মরত থাকলে, তাঁদের বদলি করতে হবে। কারও যদি একই জায়গায় চার বছর কিংবা ৩১ মে ২০১৯-এর মধ্যে তিন বছর পূর্ণ হয়, তাঁকেও বদলি করতে হবে। ৩১ মে ২০১৭ সালের মধ্যে যে সব নির্বাচন এবং উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে যাঁরা ডেপুটি ইলেকশন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও বদলি করতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য পুলিশ ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরদের ক্ষেত্রেও। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনামা পৌঁছয় নবান্নতেও। উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ায় কমিশনের ফুল বেঞ্চ কলকাতায় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলে তাতে হাজির হননি রাজীব কুমার। কলকাতার পুলিশ কমিশনার কেন হাজির হননি তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন কমিশনের কর্তারা। এর জবাবে খোদ মুখ্যমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনিই জানান যে, রাজীব কুমার ছুটিতে ছিলেন। এর পরেই রাজীব কুমার নিখোঁজ বলে জল্পনা ছড়ায়। তার প্রতিবাদ করার দিনেই কমিশনারের বাংলোয় তল্লাশি চালাতে আসে সিবিআই। শুরু হয় সংঘাত। এর পরে রাজীব কুমার শিলংয়ে টানা পাঁচ দিনের সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন। এ বার পদ থেকে সরতে হচ্ছে তাঁকে। এখন জল্পনা, পরবর্তী পুলিশ কমিশনার কে হতে পারেন? লালবাজার ও নবান্ন সূত্রে খবর, পরবর্তী পুলিশ কমিশনার হওয়ার দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন রাজ্যের ডেপুটি সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার সুধীর মিশ্র। এ ছাড়াও আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনীত গোয়েলের নামও শোনা যাচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বিনিত গোয়ালের পদক কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছে। ফলে তার কমিশনার হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই জল্পনা লালবাজারের। অনুজ শর্মার সম্ভাবনা থাকলেও বেশি আলোচনা হচ্ছে সুধীর মিশ্রকে নিয়ে। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও পদ হারাতে হয়েছিল রাজীব কুমারকে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে কমিশন নির্বাচনের আগে সরিয়ে দেয় রাজীব কুমারকে। নির্বাচনের পরে তাঁকে সেই পদে ফিরিয়ে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের নির্বাচনের আগে কমিশনের নিয়মেই সরতে হচ্ছে রাজীব কুমারকে। তবে এর পরে তিনি কী দায়িত্ব পাবেন, তা এখনও জানা যায়নি।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2DPryC8
February 19, 2019 at 12:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন