অনিল কাপুর সম্প্রতি বলিউডে ৪০ বছর পাড় করলেন। ইনস্ট্রাগ্রামে সে খবরটা তার মেয়ে সোনম কাপুর দিয়েছেন। খবরটি জানাতে ক্যাপশন দিয়েছেন, ৪০ বছর এবং চলছে। অনিল কাপুরের বয়স এখন ৬২। আর এই বয়সে নিজের সঙ্গেই নিজে ফাইট করছেন। অনেকে তো বলে তার ছেলে হর্ষবর্ধন কাপুরকে নাকি তার চেয়ে বুড়ো লাগে। তিনি এমন একজন নায়ক যে এখনো বক্স অফিসে টোটাল ধামাল তৈরী করে। বলিউডের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ারের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন। সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা এবং টোটাল ধামাল একই মাসে মুক্তি পেল, সমস্যা হয়নি? এটা অপ্রত্যাশিতভাবে মুক্তি পেয়েছে। কোন রকম প্ল্যান ছাড়াই। আমি শুধু আমার কাজটা করেছি। এটা কিন্তু এক ধরনের চমকও আমার জন্য। ব্যাক টু ব্যাক দর্শক আমার দুটি ডিফারেন্ট ক্যারেক্টার দেখতে পেল। এক লাড়কি.. স্পেশাল কারণ প্রথমবারের মতো মেয়ে সোনম কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করলাম। বিধুর সঙ্গে কাজ করলাম ১৯৪২: অ্যা লাভ স্টোরি- (১৯৯৪) সালের পর। আসলে প্রতিটা সিনেমাই আমারকাছে স্পেশাল, না হয় আমি এটা করতাম না। এটা আমার কাছে স্পেশাল যে আমি কিছু করছি। বাসায় বসে নেই। আমি কিছু সময় আমার বন্ধুর জন্য করি, কিছু সময় করি আমি একজন অভিনেতা। সিনেমায় আমি এমন কিছু পাই যার জন্য নিজেকে ক্যামেরার সামনে মোটিভেট করতে পারি। এটাই আমার সারাজীবনের লক্ষ্য। মেয়ের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? আমি তো তার সঙ্গে একটা কাজ করার সুযোগ খুঁজছিলাম। একই প্রফেশনে থেকে যদি মেয়ের সঙ্গে কাজের সুযোগ আসে, এটা সত্যিই আশির্বাদস্বরুপ। বাবা ছেলে হিন্দী সিনেমায় এর আগেও অভিনয় করা হয়েছে। কিন্তু বাবা মেয়ে একই সিনেমায় কিন্তু কমই অভিনয় করা হয়েছে। সোনম ও আমি স্পটে অনেক সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। এমনকি সেই সময়ে আমরা সোনমের বিয়ের প্ল্যানিংও করেছি। আমরা একই ভ্যানে ছিলাম। সেই ছোট্ট সোনম যেন আমার পাশে ঘুরঘুর করেছে। আমি আর ও সিনেমার পুরো সময়টা ওর বিয়ের প্ল্যানিং করেছি। কিন্তু কেউ সেটা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। সোনমের কাছে কি শিখলেন? সে অভিনয়ে বেশ স্বত:স্ফূর্ত। আর সেটে যার সঙ্গেই কথা বলেছি, সবাই ওর প্রশংসা করেছে। ওর অভিনয়ের প্রশংসা করেছে। যা একজন বাবা হিসেবে আমাকে গর্বিত করেছে। অ্যান্ড দ্যা ক্রেডিট গোজ টু... এই ক্রেডিটা সম্পূর্ণই ওর মায়ের (সুনিতা কাপুর) ছেলে হর্ষবর্ধন কাপুরের অভিনব সিনহার বায়োপিক নিয়ে কী ভাবছেন? গল্পটা আমি জেনেছি। আউটস্ট্যান্ডিং গল্প। কিন্তু একটা সিনেমার গল্পই শেষ কথা নয়। এটা ভালো করে বানাতে পারলে চমক দিবে। অপেক্ষায় আছি ভালো কিছুর। আপনি কি মনে করেন না হর্ষবর্ধনের সিনেমা পছন্দ ঠিক হচ্ছে না? না না, আপনি সেটা বলতে পারেন না। সবারই তার নিজের ক্যারিয়ার ও জীবনে পছন্দ থাকতে পারে। যদি সেটা আমার সন্তানের ব্যাপার হয়, তাহলে বলবো আমি ওদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি নিজের পছন্দ ভয়ডরহীনভাবে নেওয়ার। সেটা যতই সে ভুল করুক বা মানুষ তার উপর হাসুক। সেটাই তাদের জয়। সে তাদের ক্যারিয়ার পছন্দ করেছে। সেটা চালানোর মতো দক্ষতা আমার সন্তানদের আছে বলে আমি মনে করি। অনেকেই এসে বলে,আরে উসকো বলনা ইয়ার কমার্শিয়াল পিকচার করনে কো, আমি তার সঙ্গে কাজ করবো।আমি বলি সেটা ওর সঙ্গে কথা বলো। ও যদি রাজি হয় তো আমার প্রব্লেম নেই। কোনটা কমার্শিয়াল আর কোনটা কমার্শিয়াল না? রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ভাগ মিকাহ ভাগ কমার্শিয়াল সাকসেস পেয়েছে। কিন্তু মির্জা নিয়ে কিন্তু গণমাধ্যমে বলেছে এটা আরও ভালো করবে। কিন্তু ভালো হলো না। সঞ্জয় লীলা বানসালীর সাওয়ারিয়া নিয়েও এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো। আমি বিশ্বাস করি, পানি তার নিজের অবস্থা ঠিক করে নিবে। আমি শুধু মনে করি ভালো কাজ করো এবং হ্যাপি থাকো। এত বছর পর মাধুরির সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এত বছর পর কাজ করে মনে হলো আমি কতটা তাকে মিস করতাম। আমাদের কেমিস্ট্রি খুবই স্পেশাল। এমএ/ ০৮:৪৪/ ২১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TobxZw
March 22, 2019 at 03:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন