জাতীয় দলের ঠিক পরের দলটাকেই ধরা হয় অনূর্ধ্ব-২৩। সম্প্রতি এই বয়সের এএফসির চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। গেল এশিয়ান গেমসেই প্রথমবারের মতো ইতিহাস লিখে নক আউট পর্বে গিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এবার জামাল ভূঁইয়াদেরই সতীর্থ ও শিষ্যরা মিলে বড় প্রাপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরছে এএফসি টুর্নামেন্টে থেকে। প্রাপ্তিটা হলো প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জেমি ডের কোচিংয়ে বদলের হাওয়া এশিয়ান গেমস থেকে এএফসিতেও বইয়ে গেছে। তুলে নিয়েছে ইতিহাসের প্রথম জয়। এর আগে তিনটি আসরে ১০ ম্যাচে কোনও জয় খুঁজে পায়নি ফুটবলাররা। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসরে এসে জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজরা। যদিও শেষ ম্যাচে লঙ্কান বধ করে জয় পেলেও বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে, একদিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে রবিউল-বিপলু-বাদশারা। শুধু তাই নয়, এএফসির এই টুর্নামেন্ট থেকে জয় তো দূরে থাক এক পয়েন্ট নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারে নি কোনও দল! সাফ দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশসহ অংশ নিয়েছে ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। এই টুর্নামেন্টে ভূটান অংশ নেয়নি। পাকিস্তান তাদের নাম টুর্নামেন্ট থেকে তুলে নিয়েছে। এই পাঁচ দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই পূর্ণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে। বাকী দলগুলো এমনকি কোনও পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে পারেনি। বিশোর্ধ্ব একাডেমির মালিক ভারত উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের কাছে হজম করেছে পাঁচ গোল। বিনিময়ে গোলের মুখ দেখতে পারে নি। ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। অন্যদিকে নেপালেরও একই অবস্থা। হিমালয়ের দেশটি আফগানিস্তান, ওমান ও কাতারের কাছে হেরেছে। একটি গোলের দেখা পায়নি। বরং হজম করেছে ৮ গোল। এদিকে লঙ্কানরা বাংলাদেশসহ বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের কাছে খেয়েছে মোট ২০ গোল! সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপও অবস্থাও করুণ। তিন ম্যাচে আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও লেবাননের মতো কঠিন গ্রুপে পড়ে হজম করেছে ১৫ গোল। তারাও কোনও গোলের সাক্ষাৎ পায়নি। সেই তুলনায় বাংলাদেশ দল দুর্দান্ত ফুটবল খেলে গ্যালারি মাতানোর পাশাপাশি ফুটবল সমর্থকদেরও মন জয় করে নিয়েছে। স্বাগতিক বাহরাইন ও ফিলিস্তিন যেখানে র্যাঙ্কিং যোজন এগিয়ে সেই দলগুলোর সঙ্গে দুর্দান্ত ফুটবলই দেখিয়েছেন লাল-সবুজরা। ভাগ্য সহায় থাকলে হয়তো বাহরাইন ও ফিলিস্তিনকে আটকে দেয়া যেতো। মাত্র একটি করে গোল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই দুই ম্যাচেই টুর্নামেন্টের ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা হয়নি দলের। তবে, শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের উড়িয়ে তারা প্রমাণ করেছে যোগ্যতার কথা। সেই আত্মতৃপ্তি নিয়েই দেশের ফিরছে বাংলাদেশ। জেমি ডের শিষ্যরা। যে ফুটবল উপহার দিয়েছে দেশের খেলোয়াড়রা তাতে এটা স্পষ্ট বলা যায়, হিমাগারে যায়নি দেশের ফুটবল বরং বেঁচে আছে ফুটবলারদের মাঝেই। শুধু সমন্বয়টাই দরকার। এমএ/ ১১:১১/ ২৭ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Yt2g6l
March 28, 2019 at 05:20AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.