বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কিশোরী চাচাতো বোনকে অপহরণের দায়ে আবদুল কাদির (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের বোরহান উদ্দিনের পুত্র। গত শুক্রবার রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে কাদিরকে আটক ও তার কিশোরী চাচাতো বোনকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। অই রাতেই কিশোরীর পিতার দায়ের করা অপহরণ মামলায় কাদিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে, অভিযুক্ত কাদিরের পরিবার দাবী করেছে, চাচাতো বোনের সাথে কাদিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা নিজেদের ইচ্ছাতেই পালিয়েছিল। অপহরণের অভিযোগ একটি সাজানো নাটকমাত্র।
জানা গেছে, চাচাতো বোন হওয়ার সুবাদে অই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এক সন্তানের জনক কাদিরের। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে বাড়ীতে আসতে নিষেধ করেন কিশোরীর পিতা। এতে মনক্ষুন্ন হন দু’জনেই।
এক পর্যায়ে গত ১১ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের লোকজনের অগোচরে দু’জনেই পাড়ি জমান অজানার উদ্দেশ্যে। ঘটনার পর কিশোরীর পিতা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদেরকে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। এর চারদিন পরে ১৫ মার্চ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে কাদিরকে আটক ও কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। অই রাতেই কাদিরকে আসামী করে অপহরণ মামলা (নং-০৭) দেন কিশোরীর পিতা। মামলায় কাদিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় কিশোরীর পিতা উল্লেখ করেন, গত ১১ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার মেয়ে ঘর থেকে বের হলে কাদির তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে পালিয়ে যায়।
তবে এসব অভিযোগকে সাজানো নাটক দাবী করেছে কাদিরের পরিবার। তার বড়ভাই আবদুস সালাম বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে অই চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দু’জনেই নিজেদের সম্মতিতে পালিয়েছিল। পালিয়ে যাবার পর চাচাতো বোনের সাথে আমার ফোনালাপ হলে সে নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছে বলে স্বাভাবিকভাবেই স্বীকার করেছে। সে ফোনালাপ আমি রেকর্ড করে রেখেছি। তাছাড়া, তারা দু’জনেই থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করে আত্মসমর্পন করেছে।
এ প্রতিবেদককে পাঠানো সালাম ও কিশোরীর ফোনালাপে শোনা যায়, নিজের ইচ্ছাতেই কাদিরের সাথে পালিয়ে গেছেন বলে বারবার স্বীকার করছেন কিশোরী। এসময় তিনি বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের বাড়াবাড়িতে বিরক্তিও প্রকাশ করেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আমার সাথে যোগাযোগ করে অই কিশোরী ও কাদির আত্মসমর্পন করেনি। আমরা নানা কৌশল অবলম্বন করে কিশোরীকে উদ্ধার ও কাদিরকে গ্রেফতার করেছি।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2JjIIxV
March 17, 2019 at 05:23PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.