রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি, ২৬ মার্চঃ আগ্নেয়াস্ত্র, নাচ, গান এবং অবাধ মদের পাশাপাশি শিলিগুড়ি শহরে দেহব্যবসাও জাঁকিয়ে বসেছে। বেশকিছু হোটেলের পাশাপাশি ফার্ম হাউসগুলির অনেক জায়গাতেই দেহব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, নার্সিং সহ বিভিন্ন কাজে শিলিগুড়ি শহর এবং শহরতলি এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন সিকিম, দার্জিলিং, নেপাল সহ বিভিন্ন এলাকার মহিলারা। তাঁদেরই একটা বড়ো অংশ দিনে নার্সিংহোম বা অন্য বেসরকারি ফার্মে কাজ করে রাতে দেহব্যবসায় নামছেন। নার্সিংহোমে কাজ করে যেখানে মাসে ছয়-সাত হাজার টাকা মিলছে, সেখানে দেহব্যবসায় মাসে ১৫ দিন কাজ জুটলে মোটা টাকা হাতে আসছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, এমন কোনো তথ্য পুলিশের হাতে নেই। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।
শিলিগুড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রের অবাধ কারবার নতুন কিছু নয়। বিহারের মুঙ্গের, বেগুসরাই থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এখানে এনে হাতবদল হয়। সূত্রের খবর, শিলিগুড়িকে করিডর করেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দার্জিলিং, সিকিমেও আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হয়। সেই পাচারের কাজেই শহরে আসা-যাওয়া বিহারের মাফিয়া থেকে ব্যবসায়ীদের একটা বড়ো অংশের। বিহারে মদ নিষিদ্ধ। ফলে সেখানকার হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে আমোদপ্রমোদের কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নেই। তাই সেখান থেকে বিত্তশালী অনেকেই গাড়ি নিয়ে শিলিগুড়িতে আসছেন। বিশেষ করে, শনিবার শহরে বেশি ভিড় জমান বিহারের মাফিয়া থেকে ব্যবসায়ী সকলেই। এখানকার হোটেলে রাত কাটিয়ে মদ্যপান, নাচ, গানের আনন্দ নেওয়ার পাশাপাশি এদের অনেকে রাতে ফুর্তির জন্য মহিলাও খোঁজেন। সেই সূত্রেই এখানে দেহব্যবসার রমরমা। সূত্রের খবর, মাল্লাগুড়ি, প্রধাননগর, জংশন, ভক্তিনগরের বিভিন্ন এলাকায় থাকা হোটেলগুলিতে দেহব্যবসা চলছে।
এই হোটেলগুলির সঙ্গে শহর ও আশপাশে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা দার্জিলিং, সিকিম এবং নেপালের মহিলাদের একটা বড়ো অংশের যোগাযোগ রয়েছে। হোটেলে ক্রেতা এলে তাঁদের রীতিমতো ক্যাটালগ দেখানো হয়। দরদাম ঠিক হয়ে গেলে এক ফোনে হোটেলে হাজির হয়ে যান সেই মক্ষীরানি। হোটেলের বাইরে যেতে চাইলেও কোনো আপত্তি নেই। শহরতলির বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে থাকা ফার্ম হাউসগুলিতেও আজকাল এই ব্যবসা চলছে। রফা হওয়ার পর মহিলাকে গাড়িতে উঠিয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে রাত কাটানোর ব্যবস্থা রয়েছে এই শহরেই। ইদানীং শহরেরও কিছু বিত্তশালী পরিবারের যুবক নিয়মিত রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে মহিলা সঙ্গী নিয়ে শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2HPYNJ4
March 26, 2019 at 03:13PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন