ক্রাইস্টচার্চ, ১৫ মার্চ- নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. আব্দুস সামাদের স্ত্রী কেশোয়ারা সুলতানা মারা যাননি বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় ঢাকার মিরপুর থেকে মোবাইল ফোনে বড় ছেলে তোহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার মায়ের সঙ্গে ৪০ মিনিট আগে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। বাবার অবস্থা জানতে তার মা নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চ জেনারেল হাসপাতালে গেছেন। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই প্রকাশ না করায় তিনি (মা) বাসায় ফিরে গেছেন। এদিকে বিভিন্ন মিডিয়ায় তার মায়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিহত ড. আব্দুস সামাদের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্যা গ্রামে। তার বাবা জামাল উদ্দিন সরকার। পাঁচ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার ছোট ভাই আসাদ সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ড. সামাদ ২০১৩ সালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে স্ত্রী কেশোয়ারা, ছেলে তোহান মোহাম্মদ, তারেক ও তানভিরসহ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। পরে বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ দেশে ফিরে এসে বসবাস করলেও বাকিরা সেখানেই থেকে যান। সেখানে তিনি মসজিদে নুর-এ মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। সবাইকে নিয়ে আগামী ঈদুল ফিতরের আগে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮ জন। নিহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে ড. আব্দুস সামাদ নামে একজন অধ্যাপক রয়েছেন। হামলার শিকার মসজিদে নুর-এর মোয়াজ্জিন হিসেবেও দায়িত্বপালন করতেন ড. সামাদ। অপরজন হলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের হুসনে আরা পারভীন (৪০)। সূত্র: যুগান্তর এমএ/ ১১:৩৩/ ১৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Fev4I4
March 16, 2019 at 05:42AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন