কাঠমুন্ডু, ২০ মার্চ- নেপালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেয়েদের সাফ ফুটবল। সেমিফাইনালে আজ ভারতের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। গ্যালারিতে ছিল দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন। যখনই বাংলাদেশের মেয়েদের পায়ে বল পড়েছে গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিয়েছেন নেপালি দর্শকেরা। বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গশালায় আজ স্বাগতিক নেপাল ফাইনালের মঞ্চে খুব করে চেয়েছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, পুরো সাফের পাঁচটি আসরে যারা সব কটি ম্যাচে (এ পর্যন্ত ২৩ ম্যাচ) অপরাজিত, সেই দলকে হারানো কাদের সাধ্য? হয়েছেও তাই। অনেকটা অনুমিতভাবেই সাফের সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছে গত আসরের রানার্সআপ বাংলাদেশ। ভারতের কাছে আজ ৪-০ গোলে হেরে সাফের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে সাবিনাদের। ভারতের ১টি গোল করেছেন দালিমা চিবার ও মনীষা। ইন্দুমতি ক্যাথরিসান করেছেন জোড়া গোল। এর আগে দিনের প্রথম সেমিফাইনালে নেপাল ৪-০ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। আগামী পরশু ফাইনালে নেপালের প্রতিপক্ষ ভারত। বয়সভিত্তিক ফুটবলে যে মেয়েরা একের পর এক সাফল্যের আলোয় আলোকিত করেছে বাংলাদেশকে, সিনিয়র পর্যায়ের আসল লড়াইয়ে সেই মেয়েরাই চিনে গেছে ফুটবলের নিষ্ঠুর পৃথিবীকে। জাতীয় দল আর বয়সভিত্তিক দলের পার্থক্য অন্তত বোঝা হয়ে গেছে মারিয়া, মণিকাদের। গত বছর নভেম্বরে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে বাংলাদেশের এই মেয়েরাই ৭-১ গোলে হেরেছিল ভারতের কাছে। ভারতের সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ফুটবলার বালা দেবী ও কমলা দেবী আসেননি এই সাফে। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল তারুণ্যনির্ভর এই ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানো। যদিও ভারতের সব মেয়েরাই এসেছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে। কিন্তু ভারতের চেয়ে শারীরিক গড়ন, স্ট্যামিনা, স্কিলে যে যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ, সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়েছে। ম্যাচের প্রথম ১৭ মিনিট বলতে গেলে এক একচেটিয়াই খেলেছে বাংলাদেশ। দু দুবার কর্নার পেয়েও গোল করতে পারেনি। কিন্তু একেবারে ধারার বিপরীতে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ ১৮ মিনিটে। ভারতের প্রথম কর্নার, সঞ্জুর উড়ে আসা সেটপিস থেকে প্লেসিংয়ে গোল করেন দালিমা। ঠিক গ্রুপ পর্বের নেপালের সঙ্গে হারের ম্যাচে যেভাবে জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন রুপনা চাকমা, একই ভুল করলেন আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। এক গোল খেয়েই যেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর রক্ষণ না সামলে বাংলাদেশ গিয়েছে আক্রমণে। প্রতি আক্রমণ থেকে আবারও দ্বিতীয় গোল। এবার মাঝ মাঠ থেকে লম্বা বল ধরে সঞ্জু আর ইন্দুমতি বক্সের সামনে দেওয়া নেওয়া করেন কিছুক্ষণ। অনায়াসেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইন্দুমতি। এরপর ৩৭ মিনিটে আবারও সেই প্রতি আক্রমণ থেকেই ৩-০ করেছেন ইন্দুমতি। বলতে গেলে ম্যাচ ততক্ষণে শেষ। চোট থেকে ফিরে কৃষ্ণা মাঠে নামলেও খেলতে পারেননি। যা একটু খেলেছেন মণিকা চাকমা। দ্বিতীয়ার্ধে কৃষ্ণাকে তুলে মার্জিয়াকে নামালেন কোচ। আর শিউলি আজিমের জায়গা নামেন নীলুফার ইয়াসমিন নীলা। কিন্তু তারপরও ম্যাচের ভাগ্য বদল হয়নি। শুধু ৮০ মিনিটে মার্জিয়া ভারতের গোলরক্ষক অদিতি চৌহানকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ম্যাচের শেষ মিনিটে বদলি মনিষা ভারতের হয়ে করেন চতুর্থ গোল। সূত্র: প্রথম আলো আর এস/ ২০ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ULSiuF
March 21, 2019 at 12:38AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top