ফিফা র্যাংকিং, প্রচণ্ড গরম, ঘাসের মাঠ আর গ্যালারির দর্শক- সবকিছুই প্রতিকূলে। এত প্রতিকূলতার বিপক্ষে লড়াই করে বাংলাদেশ জিততে পারবে, এমন প্রত্যাশা মুখে বললেও অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা কঠিন। মুখে বলেছিলেন কোচ জেমি ডে। কম্বোডিয়া যাওয়ার আগেই বলেছিলেন, ম্যাচটা জিততে চাই। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছিলেন, আমরা এতদিন একসঙ্গে খেলছি। একটা জয় আশা করতেই পারি। কথা রাখলেন কোচ, অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। নমপেনের পনম পেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে জয়সূচক অসাধারণ গোলটি করেন পরিবর্তিত খেলোয়াড় রবিউল হাসান। ফিফা র্যাংকিংয়ে ২০ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। সর্বশেষ প্রকাশিত র্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২ এবং কম্বোডিয়ার অবস্থান ১৭২তম স্থানে। র্যাংকিং হিসেব করলেন নিশ্চিত এগিয়ে কম্বোডিয়ানরা। তারওপর, তারা খেলেছে নিজেদের মাঠে। বাংলাদেশে এখনও শীত পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। সকাল-সন্ধ্যা শীত শীত একটা পরিবেশ। এখান থেকে নমপেনে গিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলাররা পড়েছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে। নমপেনের তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। মাঠটাও আর্টিফিসিয়াল টার্ফের। আগের দিনও বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের নমপেনে অনুশীলন করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। আজও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খেলতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের। কিন্তু ৫ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে নিজেদের যেভাবে উজ্জীবিত করে তুলেছিল বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা, তা ছিল অসাধারণ। ম্যাচের প্রথম থেকেই কম্বোডিয়ার জালে ছিল বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা। বার বার আক্রমণ করেও অবশ্য গোল পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। কম্বোডিয়ার গোলরক্ষকই ছিল যেন বাংলাদেশের সামনে বড় প্রতিপক্ষ। কিন্তু ৮৩ মিনিটে আর দলকে রক্ষা করতে পারেননি স্বাগতিকদের গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠ থেকে লেফট উইংয়ে বল পান ১৬ নম্বর জার্সিধারী, পরিবর্তিত ফুটবলার মাহবুবুর রহমান সুফিল। নাবীব নেওয়াজ জীবনের পরিবর্তে তাকে মাঠে নামান কোচ জেমি ডে। লেফট উইং ধরে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসেন সুফিল। কম্বোডিয়ান এক ডিফেন্ডার তাকে থামানোর জন্য শরীরের সাথে লেগে থাকলেও সুফিল দারুণ দক্ষতায় বক্সের বাম পাশে এগিয়ে আসা মাহবুবুর রহমানকে পাস দেন। চলমান বলে বাম পায়ের টোকা দেন মাহবুবুর রহমান। সেটিই শেষ পর্যন্ত ফাঁকি দিলো কম্বোডিয়ার গোলরক্ষককে। তার মাথা এবং কাঁধের ফাঁক দিয়ে বল গিয়ে প্রবেশ করল কম্বোডিয়ার জালে। এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত হয়ে রইল জয় নির্ধারক হিসেবে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে আগের তিন সাক্ষাতে দুবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ জেতে ২-১ গোলে। পরের বছর দিল্লিতে নেহরু কাপে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। আর ২০০৯ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। এবার নিয়ে চার সাক্ষাতে ৩বারই জিতল বাংলাদেশ। তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ২৪ আরএস/ ০৯ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HpRyr1
March 10, 2019 at 02:21AM
09 Mar 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top