বলিউডের দিকে যদি তাকান, তাহলে তারকাদের মুখই আমাদের সামনে চলে আসে। কারণ তাদের অহরহ আমরা পর্দায় দেখতে পাই। আর সেই দেখার সুবাধে ভেবে রাখি তারাই মনে হয় সর্বসবা। কিন্তু তা নয়, পুরুষের ক্ষমতার সঙ্গে টেক্কা দিয়ে বলিউডে এমন অনেক নারী আছেন যারা কম যান না। অফ স্ক্রিনে থেকেও যারা বলিউড মহলে বেশ সফল ও ক্ষমতাবান। বলিউডের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল এমন পাঁচ নারীর কথা বলা হলো: একতা কাপুর: সিরিয়াল এবং চলচ্চিত্রের সঙ্গে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন একতা কাপুর। একতা কে সিরিয়ালের রাণী বলা হয়। একতার বয়স এখন ৪৩ বছর কিন্তু এখনও তিনি বিয়ে করেননি। ৩৯ টি সিনেমার প্রযোজক তিনি। বেহিসাবি টিভি সিরিয়াল নির্মাণ করেছেন। টিভি কিংবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নারী প্রযোজক হয়েও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বহুকাল ধরে। সিরিয়াল মানেই তো একতা। সিরিয়ালের গডফাদারও বলা হয় তাকে। নায়ক জিতেন্দ্র কন্যা বাবার সহযোগিতা নয়। মা শোভা কাপুরকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলছেন এখনো। মা শোভা কাপুরকে সঙ্গে নিয়ে বলিউডের অন্যতম সেরা প্রোডাকশন হাউসটি বালাজি মোশন পিকচারসকে প্রায় একা হাতে গড়ে তুলেছেন পরিচালক-প্রযোজক একতা কাপুর। বরাবরই হটকে কাজ করা তাদের বৈশিষ্ট। টেলিভিশন সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও প্রায় বিপ্লবই এনেছিলেন একতা। নানা সম্পর্ককে ভিত্তি করে তৈরি একের পর এক সিরিয়ালে দর্শক টেনে রেখেছিল তার সিরিয়াল। অনুপমা চোপড়া: সাংবাদিক, লেখিকা এবং চিত্র সমালোচক। বাঘা বাঘা অভিনেতা, অভিনেত্রী, সিনেমা পরিচালকরা অনুপমার সোজা-সাপটা, চোখা প্রশ্নের উত্তরে স্বীকারোক্তি দেয়, তিনি সামনে তুলে আনেন রুপালি পর্দার পিছনের গল্পকে। বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়ার স্ত্রী তিনি। তার মা বিখ্যাত স্ক্রিপ্ট রাইটার কামনা চন্দ্র। যিনি প্রেম রোগ, চাদনির মতো সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। তার বোন তনুজা চন্দ্রাও বলিউডের একজন পরিচালক। পড়াশুনা শেষে সিনেমার সাংবাদিকতা থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সিনেমা নিয়ে তিনি ভারতের প্রথম সারির পত্রিকা, টেলিভিশনসহ প্রায় সব মাধ্যমেই কাজ করেছেন। তার বর্তমানে সবচেয়ে বড় পরিচয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফিল্ম কম্পেনিয়ন নামে একটি শো করা। যেখানে বলিউডের বাঘা সব তারকাদের দেখা যায়। এই অনুপমা চোপড়ার জন্ম কলকাতা শহরে। বেড়ে ওঠা মুম্বাই ও আমেরিকায়। এই সিনে-জার্নালিস্টের বেশ কয়েকটি বই রসিকমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর লেখা প্রথম বই শোলে- দ্য মেকিং অফ দ্য ক্লাসিক জাতীয় পুরস্কার পায়। ইয়াসমিন করাচিওয়ালা: বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর যখন জিরো ফিগার হয়েছিলেন, সেটা হয়েছিল এই ইয়াসমিনের বদৌলতেই। ইয়াসমিনের প্রথম তারকা প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন কারিনা। বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই, কারিনা কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফ কিংবা আলিয়া ভাটদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে একজন প্রশিক্ষকের ছবি দেখা যায়। তাঁদের আকর্ষণীয় ও ফিট শরীরের পেছনে এই মানুষের অবদানের কথা সব সময় বলেন তাঁরা। অনেকেই সেই তারকা ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালার নাম জানি। ফিটনেসে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা ইয়াসমিনের। তারকাদের নিয়ে কাজ করতে করতে ইয়াসমিন করাচিওয়ালা নিজেও পিলাটিস প্রশিক্ষক হিসেবে তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় ফিটনেস বিশেষজ্ঞ। ইয়াসমিন করাচিওয়ালাস বডি ইমেজের ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু হয়েছে ঢাকাতে। এ বছরের শুরুতেই উদ্বোধন করতে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। অমি প্যাটেল: বিয়েতে লেমন-ইয়োলো রঙের আনারকলি পরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। রূপালি পাড়ের চমৎকার পোশাকটি নকশা করেছেন আবু জানি সন্দ্বীপ খোসলা। পোশাকটির আগাগোড়া ছিল ঝলমলে ভারি কারুকাজে মোড়ানো। পায়ে রূপালি চটি পরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। মেকআপেও একদম ছিমছাম ছিলেন এই অভিনেত্রী। ন্যুড মেকআপ ও চোখের হালকা স্মোকি সাজেই স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন পুরো অনুষ্ঠানে। গয়নার আধিক্যও ছিল না একদম। মাঝখানে সিঁথি করে চুলগুলো ছেড়ে রেখেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার পুরো স্টাইলিং করে দিয়েছিলেন অমি প্যাটেল। বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী ফ্যাশন ডিজাইনার তিনি। শুধু প্রিয়াংকার বিয়ে নয়। বলিউড তারকারা কিভাবে পোষাক পড়বে। কিভাবে কি ম্যাচিং হবে। সবটাই দেখেন তিনি। শানু শর্মা: আত্মপ্রকাশের নেপথ্যের অন্যতম কারিগর যশরাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা। তাকে বলা হয় স্টার তৈরীর কারিগর। সে আবিস্কার করে রণবীর সিং, পরীনিতি চোপড়া, ভূমি পেডেনকার, বনি কাপুরের মত বলিউডের নিউ কামারদের আবিস্কারের পেছনে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও নারী পরিচালক ফারাহ খান, জোয়া আখতার, প্রযোজক প্রেরণা অরোরা (প্যাডম্যান, টয়লেট এক প্রেম কথা, পরী), স্ক্রিণ রাইটার জুহি চতুর্বেদি ( ভিকি ডোনার, পিকু, অক্টোবর), কারিণার ম্যানেজার পুনাম ডামানিয়াদের বলিউডের অন্যতম ক্ষমতাবান ও পর্দার পেছনের সফল নারী বলা যায়। এন এ / ০৮ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2J1aL54
March 09, 2019 at 06:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top