কোচবিহার, ১৫ মার্চঃ গত ডিসেম্বরে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র পরিদর্শনের পরও রাজ্যের নতুন পাঁচটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পথচলার ছাড়পত্র পায়নি। ফের আগামী সপ্তাহ থেকে এমসিআই-এর পরিদর্শন শুরু হতে পারে। কোচবিহার, রায়গঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার, বীরভমের রামপুরহাট ও পুরুলিয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে। পরিকাঠামো ঠিক থাকলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঠনপাঠনের ছাড়পত্র দেওযা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তপক্ষের দাবি, গতবার এমসিআই-এর পরিদর্শনের সময় কার্যত যে বিষয়গুলি সমস্যার সৃষ্টি করছিল সেগুলি বর্তমানে ত্রুটিমুক্ত হয়েছে। পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি করা হয়েছে। তাই অনুমতি পাওযা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ রাজীব প্রসাদ বলেন, পরিকাঠামোর দিক থেকে আমরা তৈরি রয়েছি। এমসিআই থেকে পরিদর্শনের পর পঠনপাঠনের অনুমতি পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী। অগাস্ট মাস থেকেই পঠনপাঠন শুরু করা যেতে পারে।
বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে রাজ আমলের কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। ২২ ফেব্রুযারি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। যদিও এই প্রক্রিযা বছরখানেক আগেই শুরু হয়। গত জুন মাসে কোচবিহার সহ রাজ্যে নতুন করে তৈরি পাঁচটি মেডিকেল কলেজেই অধ্যক্ষ ও মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) নিয়োগ করা হয়। এরপর পরিকাঠামো তৈরিরও উদ্যোগ নেওযা হয়। পাঁচটি মেডিকেল কলেজের তরফেই ডাক্তারিতে (এমবিবিএস) পড়াশোনার জন্য ১০০টি করে আসনের অনুমতি চেয়ে এমসিআই-তে আবেদন জানায়। এরপর গত ডিসেম্বরে এমসিআই-র একটি প্রতিনিধিদল মেডিকেল কলেজগুলি পরিদর্শন করে। সাধারণত পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা, ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার, হস্টেল, চিকিৎসকের সংখ্যা পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু রায়গঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার, রামপুরহাট ও পুরুলিয়ার পাশাপাশি কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালও সেই পরিদর্শনের পর কার্যত ফেল করে যায়। সেই সময় পঠনপাঠনের অনুমতি আর দেওযা হয়নি।
এরপরই কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিকাঠামো ঠিক করতে তৎপরতা দেখা যায়। চিকিৎসা পরিসেবার পরিকাঠামো ঠিক করার পর ফেব্রুযারি মাসে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এখানে ৭০০-রও বেশি শয্যা রয়েছে। মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরি করা হয়েছে। মেডিকেলের জন্য প্রায় ৭০ জন অধ্যাপক, চিকিত্সকও নিযোগ হয়েছে। অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতিও বসানো হচ্ছে। শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটর ব্যবস্থার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কৃষিবীজ খামার এলাকায় কলেজের পঠনপাঠনের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ হতে বেশ কযে মাস লাগবে। যদিও তার আগেই যাতে এমসিআই-র অনুমোদন পেতে বা পঠনপাঠনে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য কোচবিহার স্টেডিযামের যুব আবাসকে পঠনপাঠনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সেখানেও নানা পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বই, লেকচার হল, প্র্যাকটিক্যাল হল তৈরি করা হয়েছে। নানা আসবাবপত্রও দেওযা হয়েছে সেখানে। হাসপাতালকে রং করে নতুন ভাবে সাজিযে তোলা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার উপরও জোর দেওযা হয়েছে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2TG56Gy
March 16, 2019 at 01:14PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন