জলিল মিয়া ও আছকর আলী জানান- খুরশিদ উল্লা, রশিদ উল্লা, আকবর উল্লা, সম উল্লা ও আব্দুল বারি নামে তাদের ৫জন বাবা ও চাচা রয়েছেন। তারা দু’জনের পিতা খুরশিদ উল্লা ও রশিদ উল্লা মারা যাওয়ার পর থেকে জোরপূর্বকভাবে তাদের ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা করে আসছেন তিন চাচা আকবর উল্লা, সম উল্লা ও আব্দুল বারি। গত ৩মার্চ রোববার খুরশিদ উল্লা ও রশিদ উল্লার পুত্র জলিল মিয়া’দের না বলে বাড়ির যৌথ অংশ বিক্রি করেন সম উল্লা। আর ওই অংশটি নিজের বসত ঘরের পাশে হওয়ায় অতি উৎসাহিত হয়ে ক্রয় করেন সম উল্লার এক নিকট আত্মীয় তৈয়ব আলী (৮০) নামের এক ব্যাক্তি। এনিয়ে গত ৫মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে সম উল্লার সাথে কথাকাটাকাটি হয় জলিল মিয়া ও তার ভাই সেলিম মিয়ার। আর ওইদিন রাতেই রহস্যজনভাবে সম উল্লাহ নিজ বসত ঘরে রক্তাক্ত আহত হন। এবিষয়টিকে ডাকাতি বলে তারা খবর দিলে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। কিন্তু সম উল্লার জরাজীর্ণ মাটির ঘরের কোন দরজা ভাঙ্গা পাওয়া যায়নি। এনিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
সম উল্লা ও তার পরিবারের অভিযোগ- ভাতিজা জলিল মিয়া ও সেলিম মিয়া তারা দুই ভাই দিনের বেলা হুমকি দিয়েছে। ওই দিন রাতে জলিল মিয়া, সেলিম মিয়া ও আরেক ভাতিজা আছকর আলী সম উল্লাকে মারধর করে তাদের ঘরে ডাকাতি করেছে। এসময় তাদের ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা লুট করে জলিল মিয়া ও তার সহযোগীরা নিয়ে যায় বলে দাবি করেন।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে গ্রামের মুরব্বি আফিজ আলী (৬০), লাল মিয়া (৫৮), মনির মিয়া (৬৫)সহ অনেকেই বলেন, গ্রামে একটি চুরি হলে সাথে সাথে পুরো গ্রামে খবর হয়ে যায়। কিন্তু এ ডাকাতির ঘটনাটি তারা সকালে মানুষের মুখে মুখে শোনেছেন। তবে সম উল্লা বিষয়টি ডাকাতি বললেও গ্রামের ওই মুরব্বিয়ানরা অস্বীকার করে বলেন দীর্ঘদিন ধরে ভূমি নিয়ে চাচা ভাতিজাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ডাকাতির ঘটনাটি রহস্যজনক বলে তাদের মনে হচ্ছে বলে জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আছকর আলী বলেন, তার চাচাতো ভাই জলিল ও সেলিমকে না জানিয়ে চাচা সম উল্লা বাড়ির যৌথ ভূমি বিক্রি করেন। আর এর প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালী এক নিকটাত্মীয়ের সহযোগীতায় সম উল্লাহ মিথ্যা একটি ঘটনাকে ডাকাতি বলে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। যাহাতে গরীব অসহায় ও মাটি শ্রমিক জলিল মিয়া মামলার ভয়ে নিরব হয়ে যায়।
এদিকে, বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশে এএসপি (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দুলাল আকন্দ এলাকায় গিয়ে একাদিকবার তদন্ত করেছেন। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন থানার ওসি।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2J3HDtM
March 12, 2019 at 01:57PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন