বিট অফিসের সামনে নির্বিচারে চলছে গাছ কাটা

শিলিগুড়ি, ১৫ মার্চঃ সুকনার রাস্তার দুধারে গাছের উপকারিতা নিয়ে হরেক রকমের পোস্টার রয়েছে। কিন্তু রাস্তার ধারেই থাকা নিউ চামটা বনাঞ্চলে নির্বিচারে হচ্ছে বৃক্ষচ্ছেদন। অথচ ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিট অফিস। এরপরেও কী করে প্রতিদিন এখানে প্রকাশ্যে গাছ কাটা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। বনকর্মীদের সঙ্গে কাঠচোরদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগও তুলছেন অনেকেই। কার্সিয়াংয়ের ডিএফও সন্দীপ বেরিযাল বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

বনাঞ্চলকে রক্ষা করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে অন্যতম, সামাজিক প্রকল্পে কাঠচোরদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তাঁদের হাতেই বনকে রক্ষা করার দাযিত্ব দেওয়া। এই লক্ষ্যেই প্রতিটি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে ফরেস্ট প্রোটেকশন গ্রুপ। কিন্তু সুকনা সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের নিউ চামটা এলাকায় এ ধরনের গ্রুপ তৈরি করা

হয়েছে কিনা বা থাকলেও সেই গ্রুপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। যেমন প্রশ্ন ওঠে নিউ চামটা বিট অফিসের কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে। কেননা, বিট অফিসের সামনে থাকা বনাঞ্চল থেকে দিনেরবেলাতেই একদল দুষ্কৃতী গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তা আটকাতে বা কাঠচোরদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয় অনেকের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে যে গাছগুলি লাগানো হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে অনেকটা বড়ো হয়ে উঠেছে। সেই গাছগুলির দিকে নজর পড়েছে দুষ্কৃতীদের।

মূলত লাকড়ি কুড়োবার অছিলায় একদল মহিলা কিছুদিন ধরে ফরেস্টের ভিতর ঢুকছে এবং নিউ চামটা চা বাগানে যাওয়ার রাস্তায় তেমন কেউ না থাকলে দ্রুত গোড়া থেকে গাছ কেটে ফেলছে। সঙ্গে সঙ্গে তা গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। নিউ চামটা চা বাগানের শ্রমিক শিশির লেপচা, বিমল মার্ডি-রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়দিনই এই দৃশ্য তাঁরা দেখতে পান। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারেন না এদের পিছনে বড়ো মাথা থাকায়। যদিও বড়ো মাথা কারা, সে ব্যাপারে তাঁরা মুখ খুলতে চাননি।

বনকর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন চা শ্রমিকদের অনেকেই। যেমন রমেশ লাকড়া বলেন, বিট অফিসের সামনের গাছগুলি তো কেটে নিয়ে গিয়েছে। সেখানকার বনকর্মীদের নজরে এই ঘটনা পড়েনি, তা কি হয়? কিন্তু কিছুই তো করা হয়নি। নিশ্চয়ই কোনো রফা আছে। একই অভিযোগ তুলে রামকুমার কুজুর, সোমরা লোহার বলেন, বড়ো বড়ো গাছও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই ফরেস্ট এখন অনেকটাই ফাঁকা হযে গিয়েছে।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2FdXVMF

March 15, 2019 at 03:38PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top