সিনেমা জগতেও ধর্ম ব্যবহার হয়েছে। বিশেষ করে বলিউডে তো ধর্ম এসেছে নানা উদ্দেশ্য ও রাজনীতি নিয়ে। ধর্মের এপিঠ ওপিঠ দেখানো হয়েছে বলিউডে। বলিউডে এসব সিনেমা হয়েছে আলোচিত, পড়েছে বাধার মুখে। পেয়েছে সফলতাও। ভাবিয়েছে হয়তো দর্শকদের। নানা ছবিতে এসেছে ধর্ম। দেখা যাক, কোন ছবিতে ধর্মকে কিভাবে দেখানো হয়েছে। পিকে: এ ধরায় সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা। ছবিতে পিকে নামক এক ভিনগ্রহবাসী মানুষের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের মোল্লা, পুরোহিতদের সংঘাতকে দেখানো হয়েছে। যেখানে যুক্তিবাদী পিকের জয় হয়। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সৃষ্ট রং নাম্বার পিকে উন্মোচিত করলে, একটি প্রেমকে আমরা পুনরুদ্ধার হতে দেখি। পিকে ধর্ম নয় ধর্মের নামে ফন্দি-ফিকিরের বিরুদ্ধে তৈরী হয়েছে। ধুম ৩: ছবিতে আমরা বেশ কয়েকবার শুনব বান্দা হে হাম উসকে হাম পে কিস কা জোর, উম্মিদো কো সুরাজ নিখলে চারো অর, ইরাদে হে ফালাদি হিম্মাতি হার কদম, আপনা হাতো কিসমত লিখনে আজ চলে হে হাম। প্রথমবার ব্যাংকওয়ালাদের সামনে সার্কাস প্রদর্শনের আগে ছোট্ট আমির খান ও তার বাবার কন্ঠে। শেষবার দুই ভাই সাহের এবং সামার যখন ড্যামের ওপর থেকে লাফ দেয় তখন। এখানে ঈশ্বর বা আল্লাহ বা ভগবান ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তির ভয় থেকে মুক্ত করে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ওহ মাই গড: সিনেমার পরিচালক উমেশ সুকলা স্বয়ং স্রষ্টাকে হাজির করেছেন মানুষের পাশে এবং মানুষের গড়া স্রষ্টার মূর্তি ভেঙ্গে দিতে উৎসাহিত করেছেন। পরিচালক দেখিয়েছিলেন সবসময়ই স্রষ্টা মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ান কিন্তু মানুষ তাঁকে চিনতে পারে না। আর আদৌ যদি চিনতে পারে তাহলে মানুষ স্রষ্টাকে নয় স্রষ্টার রুপকে উপাস্য হিসেবে বেছে নেয়। ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয়ে করেছেন অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল। মাই নেম ইজ খান: সিনেমায় শাহরুখ খান রেজওয়ান খানের চরিত্রে অভিনয় করেন। যিনি মুসলমান ও আমেরিকায় বাস করেন। প্রেমের সিনেমা হলেও দিয়েছে কিছু মেসেজও। সিনেমাটি ৯/১১ হামলার পরের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত হয়েছে। যেখানে নীরিহ মুসলমানরাও কিভাবে সেখানে বসবাস করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার: সিনেমায় নায়িকা কঙ্কনা সেন শর্মা অভিনয় করেন মিনাক্ষি আইয়ার চরিত্রে, যিনি একজন হিন্দু ব্রাম্মন। তার নায়ক রাহুল বোস, রাজা চৌধুরি নামে একজন মুসলমান। দুজন মানুষ তাদের ধর্মকে মেনে কিভাবে একে অপরের সঙ্গে জীবন যাপন করেন স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে। সেটাই ছিল ছবিটির মূল ভাষ্য। আর্থ: দেশ ভাগের সময়কার চিত্র এই গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দীপা মেহতার পরিচালনায় ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে বন্ধু হয়েও একটা সময় কিভাবে হিন্দু -মুসলমান আলাদা হয়ে যায়। পরিবেশ তাদের শত্রু করে দেয়। ধর্ম কিভাবে মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হয়ে উঠে, যেখানে বন্ধুর রক্ত তুচ্ছ। এই ছবিতে সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ওয়াটার: এটাও দীপা মেহতার একটি সিনেমা। ভারতে একটা সময়ে বিধবাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হত, সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে ধর্মের শিকল পড়ানো হয়। ছবির জন্য ভারতে ব্যাপকভাবে সমলোচিত হন দীপা। এমনকি তার ছবি নিষিদ্ধও হয়ে যায়। ধরম সংকট মে: ছবিটি অতিরিক্ত ধর্মানুভূতি লালিত পোষিত করে রাখাদের জন্য না। আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। ছবিটির সঙ্গে অনেকটা ওহ মাই গড এর সঙ্গে অনেকটা মিল আছে। ছবিটির মূল থিম হলো মানবধর্মে বিশ্বাসী। গল্পের মূল চরিত্র ধর্মপাল যে কিনা এক সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কোন ধর্মে বিশ্বাসী না। যার কাছে ধর্ম মানে মানব প্রেম আর নিজের সংসারের সদস্যদের খুশি রাখা। তবে তিনি গুরুতর মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন। এক কথায় মুসলিমদের টেরোরিস্ট বলেই জানতেন। তার এই বিদ্বেষী ভাবের কেমিস্ট্রিটা ফুটিয়ে তুলেন গল্পের আরেক ক্যারেক্টার করিম শাহ (আন্নু কাপুর) এর সঙ্গে। যে কিনা ধর্মপালের প্রতিবেশি ছিলো। আর/০৮:১৪/০৬ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NMHR7h
March 07, 2019 at 04:44AM
06 Mar 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top