ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে জমি দখল, তৈরি হচ্ছে ঘরবাড়ি

শালকুমারহাট, ৭ মার্চঃ ফালাকাটা-সলসলাবাড়ি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের জমি দখল করে চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ। অভিযোগ, জাতীয় সড়ক ঘেঁষে পাকা ঘরবাড়ি তৈরি করে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করছেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। এই ঘটনায় বাসিন্দাদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। এদিকে, সড়ক ঘেঁষে অবৈধ নির্মাণের জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পরিবহণকর্মীরা। আলিপুরদুয়ারের ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক দীপঙ্কর পিপলাই বলেন, আমরা য়াবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছি। যাঁরা এই কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিযে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে এনএইচএআই-এর ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চারলেনের সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অবশ্য ৪১.৭ কিমির এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে আগেই। রাস্তার পাশের গাছপালা কাটা প্রায় শেষ। এখন চলছে ফাঁকা জায়গায় মাটি সমান করার কাজ। এই রাস্তার কারণে মৌজা ধরে জমির ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন স্থানীয়রা। ঘরবাড়ি ভাঙার টাকাও পেয়েছেন অনেকে। তবে এখনও বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের মাধ্যমে ঘরবাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন কেউ কেউ। এক্ষেত্রে স্থানীয় একাংশ বাসিন্দা বাড়তি ক্ষতিপূরণ আদায়ের ছক কষছেন বলে অভিযোগ। ফালাকাটার কাছাকাছি বালুরঘাট ও শিশাগোড় এলাকায় রাস্তা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। এখনও অনেকে নির্মাণকাজ চালাচ্ছেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বর্তমান পাকা সড়কের পাশেই তৈরি করছেন পাকা ঘর। কেউ অবশ্য থাকার জন্য এভাবে বাড়ি তৈরি করছেন না। জানা গিয়েছে, জমির থেকেও ঘরবাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। রাস্তার জমি দখল করে তৈরি হওয়া এসব বাড়ি ফের ভাঙা পড়বে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাবেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, ভূমি দপ্তরের কর্মীদের একাংশের ইন্ধনেই তৈরি হচ্ছে এসব বাড়ি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের মৌজায় জমির ক্ষতিপূরণ কম মিলেছে। যাঁদের ঘরবাড়ি পড়েছে তাঁরাই ভালো টাকা পাচ্ছেন। তাই এভাবে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ইস্ট-ওযে্ট করিডরের নর্থবেঙ্গল জোনের টেকনিকেল ম্যানেজার প্রদ্যুৎ দাশগুপ্ত বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে কাজের নোটিফিকেশন হযে যাওয়ার পর কেউ এভাবে রাস্তার জমি দখল করে নির্মাণকাজ করতে পারেন না। এতে কাজে সমস্যা হবে। ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের কেউ এক্ষেত্রে জড়িত রয়েছে কিনা, তা খোঁজ নিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় প্রশাসনকেও বিষয়টি জানাচ্ছি।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2NLxvVo

March 07, 2019 at 02:32PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top