ঢাকা, ১৩ মার্চ- ঢাকাই সিনেমার বেহাল দশা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। মানসম্মত সিনেমার কারণে অনেক আগেই কমেছে হল সংখ্যা। আর যেসব সিনেমা চালানো হচ্ছে তাতে দর্শকও টানছে না। বেকার হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহের হাজারো শ্রমিক সেইসাথে লোকসান হচ্ছে প্রদর্শক ও প্রযোজকের।আগামী ১২ই এপ্রিল থেকে দেশের ১৭৪টি প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত এক বক্তব্যে এমনটা জানান মধুমিতা সিনেমা হলের অন্যতম কর্ণধার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। সিনেমা হল বাঁচলেই চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রদর্শক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন এবং প্রদর্শক সমিতির আরেক উপদেষ্টা মির্জা আবদুল খালেকসহ আরো অনেকে। ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্রের দুরবস্থা কাটিয়ে উঠার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোকে বাঁচানোর কিংবা দেশীয় ছবির উৎপাদন বাড়ানো এবং উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বাধাসমূহ অপসারণের কোনো কার্যকর পথনির্দেশ তারা করতে পারেনি। বাংলাদেশে প্রেক্ষাগৃহ ১২৩৫ থেকে ১৭৪-এ নেমে এসেছে। চলচ্চিত্রের বাজার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রদর্শক ও প্রযোজকের পুঁজি ধ্বংস হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহের ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১২ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেব। এটাই এখন আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এন এ / ১৩ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JaOXnH
March 13, 2019 at 09:54PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন