ওয়েলিংটন, ১২ মার্চ- হ্যামিল্টন থেকে ওয়েলিংটন বদলায়নি কিছুই। বরং হ্যামিল্টন থেকে আরো খারাপ অবস্থা। হ্যামিল্টনে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ করলেও ওয়েলিংটনে করেছে ২১১। আর হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল লড়াইয়ের ঝাঁঝ। কিন্তু ওয়েলিংটনে ২০৯ রানেই অলআউট। নিউজিল্যান্ডকে বলা হয় পেসারদের স্বর্গ। এখানে এসে খাবি খেতে হয় বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা কি হতে পারে তাই আগেই অনুমেয় ছিল। তারপর মনে হচ্ছিল অনন্ত বোলাররা এ পিচ থেকে সুবিধা আদায় করতে পারবেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। বরং এখানের পিচে যথারীতি আগুন জ্বেলেছে সিউদি, ওয়াগনার, বোল্টরা। ওয়েলিংটনের প্রথম দুইদিন বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় তৃতীয় দিনে এসে বল মাঠে গড়ায়। কিন্তু মাত্র দুই সেশনেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আর দ্বিতীয় ইনিংসও শেষ হয়েছে দুই সেশনেই। অর্থাৎ হিসেব করলে দেখা যাবে মাহমুদুল্লাহরা খেলেছেন দেড়দিনেরও কম সময়। আর এতেই হেরে গেছেন ইনিংস ব্যবধানে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২১১ রানের জবাবে কিউইরা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৩২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। অর্থাৎ ২২১ রানের লিড নেয় প্রথম ইনিংসে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে কিউই পেস তোপে প্রথম ইনিংসের চেয়ে দুই রান কম করে অর্থাৎ ২০৯ রান করে অলআউট বাংলাদেশ। যার ফলে ইনিংস ও ১২ রানের পরাজয় কপালে জুটে। সঙ্গে সিরিজও হেরে যায়। এখন হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষার পালা। চতুর্থ দিনে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮০ করা বাংলাদেশের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিথুন ও সৌম্য এদিন ব্যাটিংয়ে নামেন। সৌম্য দলীয় ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন। আর মিথুন ব্যক্তিগত ৪৭ রান করে দলীয় ১৫২ রানে ওয়াগনারের শিকারে পরিণত হন। এরপর চলে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার পালা। মাঝখানে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ একা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও যোগ্য পার্টনারের অভাবে বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ২০৯ রানের সময় দলের সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে নবম উইকেট হিসেবে ওয়াগনারের বলে বোল্টের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান। একই ওভারের শেষ বলে এবাদতকে বোল্ট করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন ওয়াগনার। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উপর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন বোল্ট ও ওয়াগনার। এ দুজন দুই ইনিংসে শিকার করেন ১৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করা রস টেইলর হন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ। তথ্যসূত্র: আরটিভি আরএস/ ১২ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2u3mtlp
March 12, 2019 at 04:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন