সমীর দাস , হাসিমারা, ৭ মার্চঃ কালচিনি ব্লকের পুরোনো হাসিমারার বেশ কিছু বাসিন্দা কয়েক মাস ধরে র্যাশন পাচ্ছেন না। অভিযোগ, ডিজিট্যাল র্যাশন কার্ড হওয়ার পর নতুন কার্ডে র্যাশন ডিলারের নাম ভুল থাকায তাঁরা তাঁদের র্যাশন ডিলারের কাছ থেকে র্যাশন সামগ্রী পাচ্ছে না। দ্রুত সমস্যা না মিটলে বাসিন্দারা আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনাও শুরু করেছেন। র্যাশনকার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা নির্দিষ্ট ফর্ম জমা দিয়েছেন ব্লক খাদ্য দপ্তরে। কিন্তু প্রায ২ মাস আগে সংশোধনের জন্য ফর্ম জমা দিলেও এখনও আর র্যাশন চালু হয়নি। এলাকার অন্তত ৬৫ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে র্যাশনের জন্য ডিলার থেকে শুরু করে খাদ্য দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু দুস্থ পরিবারগুলির সমস্যার সুরাহা হয়নি। ব্লক খাদ্য দপ্তর আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায এক বছর আগে ডিজিট্যাল র্যাশনকার্ড হাতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তাতে কিছু বাসিন্দার র্যাশন ডিলারের নাম ভুল ছাপা হয়। কয়েক মাস পর্যন্ত খাদ্য দপ্তর থেকে প্রত্যেকের নামে পুরোনো রেকর্ড অনুয়ায়ী র্যাশন সামগ্রী পাঠানো হলেও পরবর্তীতে ওই বাসিন্দাদের র্যাশন সামগ্রী বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট র্যাশন ডিলারের কাছে বিষযটি জানতে চাইলে র্যাশন ডিলার তাঁদের বলেন, কার্ডে অন্য র্যাশন ডিলারের নাম উল্লেখ থাকায় তাঁর কাছে ওই গ্রাহকদের নামে র্যাশন সামগ্রী অনুমোদন বন্ধ হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয় ৬ নম্বর ফর্ম ব্লক খাদ্য দপ্তরে জমা দিতে। বাসিন্দারা পরবর্তীতে ব্লক খাদ্য পরিদর্শকের কাছে গিয়ে ৬ নম্বর ফর্ম জমা দেন।
ভুক্তভোগী স্থানীয বাসিন্দা বাদল পাল, প্রবীর সাহা, সুবীর সাহা, নিশা মাহাতো জানিয়েছেন, খাদ্য দপ্তরের ফর্ম জমা দেওয়ার দুমাস পরেও নতুন র্যাশনকার্ড আসেনি। আবার পুরোনো ডিলারের কাছেও র্যাশন সামগ্রীর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ র্যাশন সামগ্রী তবে যাচ্ছে কোথায়? দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। সাঁতালি গ্রাম পঞ্চায়েছের প্রধান মনোজ বড়ুয়া বলেন, র্যাশন না পেয়ে বাসিন্দারা সমস্যায় রয়েছেন। বাসিন্দাদের ব্লক খাদ্য দপ্তরে নিযে সংশ্লিষ্ট ফর্ম জমা করা হয়েছে। ব্লক র্যাশন পরিদর্শককে দ্রুত ওই বাসিন্দাদের র্যাশন চালুর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করব। কালচিনি ব্লক খাদ্য আধিকারিক রঞ্জিত মজুমদার বলেন, নতুন কার্ডে কিছু ভুল থাকায় বাসিন্দাদের সংশোধনের জন্য ৬ নম্বর ফর্ম ফিলআপ করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা তা জমা দেওয়ার পর সব তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। সংশোধিত র্যাশনকার্ড কবে বাসিন্দারা পাবেন তা জানা নেই। তবে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ মেটাতে পুরোনো তথ্য অনুয়াযী চলতি মাস থেকেই ওই বাসিন্দাদের পূর্বতন র্যাশন ডিলারের কাছে র্যাশন সামগ্রী পাঠানো হবে। সেখান থেকেই তারা তা সংগ্রহ করতে পারবেন।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2H7rSjN
March 08, 2019 at 01:35PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন