চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন স্থানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল মসজিদ নির্মাণের লক্ষে বুধবার রেলের জমিতে গড়ে উঠা বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদকে ঘিরে রেলবস্তির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তাদের মাল পত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। আর প্রশাসন বলছেন, যথাসময়ে নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। রেলের জমিতে বসবাসকারীদের বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানে বস্তির প্রায় শতাধিক বাড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়। প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে বাসিন্দরা অভিযোগ করেন, তাদের মালপত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগ না দিয়েই উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। নিজের দেড় বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘরের মালপত্র সরানোর চেষ্টা করা বর্ণা খাতুন বলেন, ‘এখনো নিজেদের কোন জমি কেনা সম্ভব হয়নি, এখন কোথায় যাব, কোথায় ঠাই হবে বলতে পারছি না’। বর্ণার পাশের বাড়ির আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ রোহিঙ্গাদের ঠাই দেয়া হলো, এতো সাহায্য দেয়া হলো। আমাদের বস্তির মানুষগুলোর কথা চিন্তা করা হলো না, কোথায় থাকবে, কোথায় যাবে এতো গুলো মানুষ’।
এ বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, বেশ কয়েকবার লিখিত ও মৌখিক ভাবে উচ্ছেদের বিষয়টি জানানো হয়েছিলো। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ রেলের এ জমি ধর্ম মন্ত্রনালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের অধিনে প্রতি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মডেল মসজিদ এখানে নির্মাণ করা হবে’।
ইসলামী ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে এ মডেল মসজিদ নির্মান প্রকল্পে মসজিদ ছাড়াও উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের অফিস, ৫০০ আসনের মিলনায়তন, কুরআন শিক্ষা ও চর্চার সুযোগ সহ বেশ কিছু সুযোগ থাকবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৬-০৩-১৯
সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। রেলের জমিতে বসবাসকারীদের বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানে বস্তির প্রায় শতাধিক বাড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়। প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে বাসিন্দরা অভিযোগ করেন, তাদের মালপত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগ না দিয়েই উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। নিজের দেড় বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘরের মালপত্র সরানোর চেষ্টা করা বর্ণা খাতুন বলেন, ‘এখনো নিজেদের কোন জমি কেনা সম্ভব হয়নি, এখন কোথায় যাব, কোথায় ঠাই হবে বলতে পারছি না’। বর্ণার পাশের বাড়ির আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ রোহিঙ্গাদের ঠাই দেয়া হলো, এতো সাহায্য দেয়া হলো। আমাদের বস্তির মানুষগুলোর কথা চিন্তা করা হলো না, কোথায় থাকবে, কোথায় যাবে এতো গুলো মানুষ’।
এ বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, বেশ কয়েকবার লিখিত ও মৌখিক ভাবে উচ্ছেদের বিষয়টি জানানো হয়েছিলো। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ রেলের এ জমি ধর্ম মন্ত্রনালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের অধিনে প্রতি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মডেল মসজিদ এখানে নির্মাণ করা হবে’।
ইসলামী ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে এ মডেল মসজিদ নির্মান প্রকল্পে মসজিদ ছাড়াও উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের অফিস, ৫০০ আসনের মিলনায়তন, কুরআন শিক্ষা ও চর্চার সুযোগ সহ বেশ কিছু সুযোগ থাকবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৬-০৩-১৯
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2SMhNKn
March 06, 2019 at 06:00PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন