ঢাকা, ২৩ মার্চ- বিপাশা। নাম বললেই চলে। নামের আগে ও পরে আলাদা কোনো বিশেষণের প্রয়োজন পড়ে না। দেশীয় শোবিজে খুব বেশি পরিচিত একটি নাম। অনেক গুণের অধিকারী বিপাশা হায়াতকে সর্বস্তরের দর্শক চেনে অভিনেত্রী হিসেবেই। যদিও বহুদিন ধরে অভিনয় করছেন না, তবুও তার জনপ্রিয়তার কমতি নেই। এমনকি বিপাশা যদি আর অভিনয় নাও করেন তারপরও তার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়বে না। সত্যিকারের তারকারা তো এমনই হয়। দেখতে দেখতে জীবনের ৪৮টি বসন্ত পার করে দিয়ে আজ পঞ্চাশের ঘরে (৪৯) পা দিলেন তিনি। পঞ্চাশের ঘরে নিজের বয়স পৌঁছে যাওয়ায় নিজেও খানিকটা অভিভূত বিপাশা। গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিপাশা বলেন, সত্যিই তো। কীভাবে যে এতগুলো বছর পার করলাম বুঝতেই পারছি না। তবে যাযাদি-কে বিশেষ ধন্যবাদ, তারা আমার জন্মদিনের তারিখটা মনে রেখে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু বাসায় আজ অনেক আত্মীয়স্বজন। এ কারণে ভীষণ ব্যস্ত এখন। সবচেয়ে ভালো হয় পরে ফোন করলে। তখন মন খুলে আয়েশ করে কথা বলতে পারব। তারপরও দুমিনিটের সময় চাওয়া হয় তার কাছে। নিজের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে বিপাশা হায়াত বলেন, না, আহামরি কোনো পরিকল্পনা নেই। বরাবরের মতো এবারও আমার দুই সন্তান ও পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন কাটাব। বড় আয়োজনে নয়, স্বামী-সন্তানদের নিয়ে পারিবারিকভাবে ঘরোয়া আয়োজনেই সারা দিন কেটে যাবে। অনেকেই ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। ভক্তরা আমাকে মনে রেখেছেন। এটা সত্যিই ভালো লাগার। এজন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। বিপাশা হায়াত ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ অর্থাৎ কালরাত্রির মাত্র তিন দিন আগে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর থেকেই পেয়েছেন সাংস্কৃতিক পরিবার ও পরিবেশ। বাবা আবুল হায়াত একজন গুণী অভিনেতা। তাই অভিনয়ের সাথে বিপাশার পরিচয় সেই ছোটবেলা থেকেই। ১৯৯০ সাল হতেই শিল্পকলার জগতে তার বিচরণ। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট হতে মাস্টার্স করেছেন এ গস্নামারাস অভিনেত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। একসময় টিভি নাটকে তৌকীর-বিপাশা জুটি খুব জনপ্রিয় ছিল। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান বিপাশা। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত আরেক ছবি জয়যাত্রাতেও অভিনয় করেন তিনি। আগুনের পরশমণিতে যুবতী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও জয়যাত্রাতে তার অভিনয় ছিল মধ্যবয়স্ক এক নারীর চরিত্রে। বিপাশা বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছেন। নাটক-চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন ও উপস্থাপনা সব জায়গাতেই সফল বিপাশা। অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদের সঙ্গে বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে সংসারে মনোযোগী হয়ে পড়েন বিপাশা। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বড়টি মেয়ে- আরিশা আহমেদ, ছোট ছেলে আরিব। সংসার সামলানোর পাশাপাশি বর্তমানে ছবি আঁকা ও চিত্রনাট্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জয়নুল গ্যালারি, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ডিভাইন আর্ট গ্যালারিসহ দেশে-বিদেশে বহু স্থানে বিপাশার আঁকা ছবিগুলোর প্রদর্শনী হয়েছে। পেয়েছেন সুনাম। কালেভদ্রে নাটকে অভিনয় করেন বিপাশা। তবে মাঝেমধ্যে অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেন তিনি। ফেব্রম্নয়ারি মাসেও চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। আর/০৮:১৪/২৩ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TrBoQy
March 23, 2019 at 07:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন