নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে নাটক সিনেমা দেখে বড় হয়েছেন। আর এই বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরী হলে কখনো কখনো আপনার মনে নায়িকা হওয়ার বাসনা জাগতেই পারে। কেউ তার বাসনা পূরণে ঝাঁপ দেয়।কেউবা মনের মধ্যেই কবর দিয়ে দেয় এমন স্বপ্নকে। নায়িকা বলে কথা। সারাদেশের মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি থাকবে। আপনি হবেন অসংখ্য যুবকের ড্রিম গার্ল। অর্থ প্রতিপত্তির থাকবে না কোন অভাব। কারণ একজন নায়িকা যেকোনো সাধারণ পেশার কর্মজীবী নারীর চেয়ে অনেক বেশি আয় করেন। আর এত সব প্রাপ্তিরে জন্য আপনার নায়িকা হতেই হবে। এ সময়ের বিবেচনায় আপনি নায়িকা হতে পারেন এমন ১০ টি উপায় খুঁজে বের করা হলো। ১. সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। কারণ সুন্দরী প্রতিযোগিতার তকমা আপনার নামের আগে লাগলে কোন না কোন উপায় হয়েই যাবে। বড় পর্দা না হলেও ছোট পর্দায় আপনার সুযোগ তো থাকবেই। যোগ্যতা থাকলে আপনিও হতে পারেন বিদ্যা সিনহা মিম, মম কিংবা মেহজাবিন।সুন্দরী প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতা।সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগি সেখানে অংশগ্রহণ করেন। কত কত মেয়ের সঙ্গে লড়তে হবে। সেখানে যদি আপনি সেরা দশে না আসতে পারেন, হতাশ হবেন না। একটায় না পারলে আরেকটায় চেষ্টা করুণ। বাংলাদেশে একাধিক রিয়েলিটি শো রয়েছে। ২. ফেসবুক এখন নায়িকা-অভিনয়শিল্পী গড়ার সবচেয়ে শক্তিশালী কারিগর। ফেসবুককে ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে টাকা খরচ করে ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলিয়ে আপনাকে অপরূপ সুন্দরী করে তুলতে পারেন।এক্ষেত্রে অনেক সময় ফটোগ্রাফারকে বন্ধু বা বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে নিতে পারেন। ৩. ফেসবুক ভ্যালু এখন অনেক বড় ব্যাপার। আপনার পোস্টে যত লাইক পড়বে তত আপনার চাহিদা। আপনাকে যদি পরিচালক কাস্ট করেন, তাহলে আপনি সেই কাজটি ছড়িয়ে দিতে পারবেন। ইউটিউবে আপনি যত ভিউ এনে দিতে পারবেন, তত আপনার কাস্টিং পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। ৪. টাকা ওয়ালা বয়ফ্রেন্ড থাকলে আপনার টেনশন নেই। তাকে দিয়েই আপনার নাটক সিনেমা প্রডিউস করেন।ইন্ডাস্ট্রিতে এখন এই চর্চাই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। অনেক নায়িকার বয়ফ্রেন্ডেরই টাকা তার ছবিতে নামে বেনামে আছে। ৫. অর্চিতা স্পর্শিয়া সেদিন জানালেন এক ফর্মুলা, সিনেমায় খোলামেলা কু প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর নাটকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে। এখন আপনার সিদ্ধান্ত এমন কোন প্রস্তাব লুফে নিয়ে নায়িকা হবেন কিনা। এক্ষেত্রে প্রযোজকের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী হতে হবে।যদিও এটা নতুন কোন ফর্মুলা নয়। ৬. আপনার যোগ্য মা থাকতে হবে। যিনি আপনাকে কাজ পাইয়ে দিবে। তিনিই ফোন করে প্রযোজক ম্যানেজ করে দিবেন। তাকে সর্বক্ষণ আপনার পাশে থাকতে হবে। আপনি নায়িকা হওয়ার যতটা স্বপ্ন দেখেন, তার চেয়ে কোন অংশে আপনার মায়ের স্বপ্ন দেখা চলবে না। তার তিনগুণ বড় স্বপ্ন দেখতে হবে মেয়ের নায়িকা হওয়ার জন্য।নায়িকার মা বলে কথা। তাহলেই আপনি শুটিং স্পটে গিয়েও দাপট দেখাতে পারবেন। ৭. হালের সুপারস্টারের উপর ভর করেন। যারাই তার উপর ভর করতে সক্ষম হবেন। আপনার আর সিনেমার অভাব হবে না। কারো হাতে কাজ না থাকলেও আপনার হাতে কাজ থাকবে। ৮. সিনেমার পরিচালকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন। কম হলেও সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন। যারা কোন না কোনদিন আপনার পথ ঠিক করে দিবেন। ৯. বিনোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে পারেন।এদের সঙ্গে বিনোদন জগতের সকল শ্রেণীর কলাকুশলীর সম্পর্ক থাকে। তিনি আপনার কোন না কোন ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। ১০. উপরের উপায়গুলোতো এখন চলে। যদি এসব করতে ইচ্ছুক না হন। আপনার মডেল ফটো সিভিসহ প্রডাকশন হাউজগুলোতে জমা দিতে পারেন। যদিও এখন প্রফেশনাল প্রডাকশন হাউজ নেই বললেই চলে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের কিছু প্রডাকশন হাউজ আছে। যেখান থেকে আপনি বিজ্ঞাপন করার বা মিডিয়ায় পথ চলার সুযোগটা নিতে পারেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যাদের আমরা কিংবদন্তি নায়িকা হিসেবে বিবেচনা করি। তাদের প্রায় সবাইকে পরিচালকরাই কোন না কোন জায়গা থেকে অভিনয়ের অফার দিয়ে নিয়ে এসেছেন। সে সময়ের বিখ্যাত পরিচালকরা তাদের গড়ে পিটে তুখোড় অভিনয় শিল্পী হিসেবে তৈরী করেছেন। অন্যদিকে ভালো অভিনেত্রী বলতেই একটা সময় মনে হতো মঞ্চ। যে মঞ্চ থেকে এখন আর কোন নায়ক নায়িকা বা অভিনয়শিল্পী উঠে এসে নাম করতে পারেন বলে শোনা যায় না।সুতরাং আপনি ভিন্ন পথে হাটতেই পারেন। এমএ/ ০০:২৫ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HF0cTJ
March 25, 2019 at 06:15AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top