ওয়েলিংটন, ১৫ মার্চ- নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। সেই মসজিদেই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। তামিম-মিরাজরা প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক পথচারী তাদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। বলেন এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। পরে দৌড়ে টিম বাসের মধ্যে ঢুকে যান এবং মেঝেতে শুয়ে পড়ে। খানিক পরই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তারা এখন হ্যাগলি ওভাল স্টেডিয়ামে অবস্থান করছেন। তবে খুব কাছ থেকে এমন মারাত্মক ঘটনার সাক্ষী হয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। দ্রুত দেশে ফিরতে চাচ্ছেন তারা। তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের মানসিক অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন সাংবাদিকরা। ঘটনার পর থেকে তাদের সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় রেডিও ধারাভাষ্যকার ব্রায়ান ওয়াডেল। স্থানীয় প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে তিনি জানান, টিম হোটেলে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে আমি কাঁদতে দেখেছি। তারা এখনো নিশ্চিত নন, ঘটনা কতদূর গড়াবে। ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। সব খেলোয়াড় নিরাপদে আছেন। তবে কেউই নিউজিল্যান্ডে আর থাকতে চাচ্ছেন না। তারা দ্রুত দেশে ফিরে আসতে চান। তিনি বলেন, আমি মনে করি না, বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা খেলার মতো মানসিক অবস্থায় আছেন। তারা শিগগির দেশে ফিরতে চান। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আমি যা শুনেছি, তা থেকেই বলছি। ঘটনার বর্ণনায় ইসাম বলেন, হামলাকালে একজন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করে বলেন, যাতে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে। তবে আমিও ক্রাইস্টচার্চে নতুন। কাউকে চিনি না। কার সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার জানি না। একজন অপরিচিত ব্যক্তির গাড়িতে করে কোনোভাবে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে ঘটনাটি জানাই। পুরো ঘটনাটাই মর্মান্তিক। খ্যাতিমান এ সাংবাদিক জানান, ঘটনাস্থরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। লোকজন এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। মানসিকভাবে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তারা ভালো অবস্থায় নেই। আহত অবস্থায় একজনকে চোখের সামনে দেখেছিল। এন এ / ১৫ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TBMB5O
March 15, 2019 at 07:28PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top