বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ কারণে এবারও বাজিমাত করতে পারেন সুহেল চৌধুরী

FB_IMG_1552636629217মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: আসন্ন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কেবলমাত্র ১০টি কারণে গতবারের ন্যায় এবারও বাজিমাত করতে পারেন বর্তমান চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী ।নিম্নে যে ১০টি বিষয়ের মধ্যে অন্তত ৫টি বিষয় তার পক্ষে গেলে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের কে পেছনে পেলে পরপর দুবার নির্বাচিত হয়ে নতুন এক ইতিহাসের বরপুত্র হবেন সুহেল চৌধুরী । এবার বিজয়ী হলে তিনি হবেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান , যিনি পরপর দুবার নির্বাচিত হলেন ।যা গত ৪টি নির্বাচনে কেউ সেই ইতিহাস রচনা করতে পারেননি।

নিম্নে ১০টি কারণ তুলে ধরা হল – (১) সুহেল আহমদ চৌধুরীকে সমর্থনকারী বিশ্বনাথের বিভিন্ন ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানরা নিজেদের প্রেস্টিজ ইস্যু মনে করে ভোটের মাঠে যদি বর্তমান গতি ধরে রাখেন তাহলে কপালে পুড়তে পারে সুহেল চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের।

(২) সুহেল চৌধুরীর নিজ দলের অপর প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাকারী উপজেলা পর্যায়ের অনেক নেতা পাতিনেতাদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কারনে দলের ত্যাগী ও তৃণমূলের কর্মী , সমর্থক ও নিরবে থাকা নেতারা (দুই প্রার্থী থাকায়) তার (সুহেল চৌধুরী) পক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে এসবের জবাব দিলে শেষ হাসি হাসতে পারেন তিনি (সুহেল চৌধুরী) ।

(৩) নিজে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে গত ২ টি উপজেলা নির্বাচন এবং গত সংসদ নির্বাচনে অপরিচিত ও অক্ষাত মোকাব্বির খানকে চমক দেখানো বিজয় অর্জনে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে তার ৫০ ভাগ কাজে লাগালে সুহেল চৌধুরীর বিজয় কারো পক্ষে রুখা সম্ভব না ও হতে পারে ।প্রসংগত চেয়ারম্যান পদে অপর প্রার্থীরা এই প্রথম নির্বাচন করছেন এবং তারা প্রত্যেকেই নিজ দলের নেতৃবৃন্দের উপর যে কোন সিদ্বান্ত ও দিক নির্দেশনার জন্য সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।

(৪) বাংলাদেশের মিডিয়ার কাছে বিশ্বনাথ উপজেলা একটি ব্যাপক আলোচিত জনপদ। যার কারণে গত সংসদ নির্বাচনের ন্যায় এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । সে কারণে এ বিষয়টিও সুহেল চৌধুরী আনুকূল্যে থাকবে ।

(৫) সুহেল চৌধুরী দীর্ঘদিন বিশ্বনাথ – জগন্নাথপুর – সুনামগন্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে মালিক শ্রমিকের সুখে-দুখে আপনজনের মত পাশে থাকায় বিশ্বনাথ উপজেলার বিপুল সংখ্যক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নিরন্কুশ সমর্থন এবং সহযোগিতার কারণে এবারও হয়ত সুহেল চৌধুরীকে পরাজয়ের স্বাধ পেতে হবেনা ।

(৬) গত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির রানিং এমপি ছিলেন ইয়াহহিয়া চৌধুরী ।কিন্তু তরুন এই রাজনীতিবিদকে নিজ আসনে অনেক উন্নয়ন কাজ করেও শোচনীয় পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে ।এর জন্য জাতীয় পার্টির অনেক নেতা কর্মী পরাজয়ের কারণ হিসেবে তাদের রাজনৈতিক মিত্র আাওয়ামীলীগের পর্যাপ্ত সহযোগিতার অভাবের কথা বলছেন । স্বাভাবিক কারণে তাদের সব ভোট আওয়ামীলীগের প্রার্থী না ও পেতে পারেন । আর তাতে কপাল খুলতে পারে সুহেল চৌধুরীর ।

(৭) বিগত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী ভোট পেয়েছিলেন ১৬ হাজারেরও বেশী । এবার তিনি প্রার্থী নেই । এমনকি সারাদেশে জামায়াতের কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশও নিচ্ছেন না।প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জামায়াতের ১৬ হাজার ভোট কে পাবে ? গত ১২ মার্চ যুক্তরাজ্যের লেস্টারে সুহেল আহমদ চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত সভায় বিশ্বনাথের সাবেক জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারনায় কিছু নেতা কর্মীর সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে তাদের উল্লেখযোগ্য ভোট এবার সুহেল চৌধুরীর পক্ষে যাবে ।

(৮) বিশ্বনাথে আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীণ বিরোধ স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন এটি একটি ওপেন সিক্রেট । সে কারনে শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বলয়ের নেতা-কর্মীরা নুনু মিয়াকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিলেও মাঠের খবর কিন্তু অন্যরকম। দুই বলয়ের নেতারা ভবিষ্যতে রাজনীতির মাঠে নিজেদের একক আধিপত্য বজায় রাখতে সাম্প্রতিক রাজনীতির মত বিভিন্ন আত্নঘাতি রাজনৈতিক গেইম এবারও খেললে কপাল পুড়তে পারে নুনু মিয়ার আর তাতে আখেরে লাভ হবে সুহেল চৌধুরীর।

(৯) বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি এখন বিভিন্ন কারণে দ্বিধাবিভক্ত । উপজেলা বিএনপির সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক বলয়ের নেতারা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে রানিং চেয়ারম্যানকে সমর্থন না করে বিভিন্ন নাটক মন্চস্থ করে অবশেষে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইচ চেয়ারম্যান পদে ৪র্থ স্থান লাভকারী মিছবাহ উদ্দিনকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে প্রচারনা চালাচ্ছেন । আর এতে স্বাভাবিক কারণে সুহেল চৌধুরী দলীয় নেতা কর্মীদের সহানুভূতি পেতে তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তাতে দলীয় নেতা কর্মীদের মন কিছুটা হলেও জয় করতে পারলে এবারের নির্বাচনেও হয়ত বাজিমাত করতে পারেন সুহেল চৌধুরী ।

(১০) বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অপরাপর প্রার্থীর চেয়ে সুহেল চৌধুরীর একটু বেশী হলেও পরিচিতি রয়েছে ।তা ছাড়া গত ২৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে তিনি স্থানীয় রাজনীতি করছেন । সে কারনে এবং বিগত ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় দলমত নির্বিশেষে বিশ্বনাথের তার একটি ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে ।

উপরোক্ত ১০টি কারণের মধ্যে অন্তত ৫টি বিষয় তার আনুকূল্যে তাকলে হয়ত আগামী ১৮ মার্চ রাতে শেষ হাসি সুহেল চৌধুরীই হাসবেন।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2CltIJH

March 15, 2019 at 06:58PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top