কলকাতা, ৩ মার্চঃ কলকাতায ধরনায় বসে একপ্রস্থ বরাদ্দ তো পেয়েছেন। পরে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও পুরসচিবের সঙ্গে দেখা করে শিলিগুড়ি পুরনিগমের জন্য কিছু উন্নযনমূলক প্রকল্পের আশ্বাসও আদায় করে ফিরেছেন মেযর অশোক ভট্টাচার্য। এই প্রথম একটি পুরনিগমের দাবিদাওয়া নিয়ে কলকাতায ধরনায় বসে শুক্রবার সাড়া ফেলেছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোকবাবু ও পুরসভায় তাঁর সতীর্থরা। দিনভর ধরনায় বসে ওইদিন পুরসভার বকেয়া পাওনার কিছুটা আদায় করতে পেরেছেন তাঁরা। পুরসভার বিভিন্ন খাতে পাহাড়প্রমাণ বকেয়ার প্রায ৭০ কোটি টাকা ধরনার দিনই মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ধরনার দিনই তাঁদের দেখা হয়েছে। বকেযা আদায়ে ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। তার উপর মন্ত্রীর পরামর্শে বাকি দাবিদাওয়া নিযে পুরসচিবের সঙ্গে মেয়রের কথা হয় শুক্রবার সন্ধেতেই। আশ্বাস মিলেছে সেখান থেকেও। ওইদিন ধরনার পাশাপাশি পুরসভার প্রতি রাজ্য সরকারের বৈষম্য ও বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকেও জানিয়েছিলেন মেয়র। রাজ্যপাল বিষযটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেনতাঁদের। এইসব তাঁদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফল বলেই মনে করছেন অশোকবাবুরা। ধরনার দিনই বিভিন্ন খাতে প্রায ৭০ কোটি টাকা প্রাপ্তি তাঁদের একপ্রকার জয় বলে মনে করছেন মেয়র। যদিও আরও বিশাল পরিমাণ বকেযা আদায় করতে তাঁরা ভবিষ্যতেও লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে শনিবার কলকাতায় জানিয়েছেন অশোকবাবু।
মেয়র জানিয়েছেন, প্রায় ৭০ কোটি টাকার মধ্যে রয়েছে রাজ্য অর্থ কমিশনের সুপারিশ মতো ৪ বছরের বকেয়ার প্রায় ৩০ কোটি টাকা, দেশের চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশের ১৩ কোটি টাকা এবং হাউসিং ফর অল প্রকল্পের দ্বিতীয পর্যাযে ৭ কোটি টাকা। এই টাকা পাওযা গেলেও পুরনিগমের আরও বকেয়া কিন্তু থেকে গেল, যা তাঁদের আদায়ে চেষ্টা থেমে থাকবে না বলে তিনি জানান। মেযর বলেন, এইটুকু আদায় করতে পেরে আমরা খুশি। আর এইসব সম্ভব হয়েছে আমাদের দিনভর কলকাতায় ধরনা, রাজ্যপাল ও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওযার জন্যই। সব চেয়ে বড়ো কথা পুরসভার প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানাতে শুধু আমরাই ধরনায বসিনি, আমাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে ধরনায় অংশ নিয়েছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী সহ সিপিএমের বিধাযকরা। আর ওই ধরনায তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের শংকর মালাকার, সুখবিলাস বর্মা ও অসিত মিত্র এবং চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার, কলকাতার প্রাক্তন মেযর বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ। শনিবার মেয়র বলেন, আমরা কলকাতায় শিলিগুড়ির জন্য একটি অতিথি নিবাস, য় একটি নাট্যমঞ্চ ও ব্যাঙ্কোয়েট হল তৈরি করার প্রকল্প জমা দিয়েছি। মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ট্রাস্ট থেকে এই জন্য আমরা ঋণ চেয়েছি। বিষযটি পুরদপ্তর বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2SF3KpQ
March 03, 2019 at 04:16PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন