হ্যামিলটন, ০২ মার্চ- বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সামনে অপার রহস্য নিয়ে হাজির হয়েছে সেডন পার্কের উইকেট। যেখানে অনায়াসে ব্যাট চালিয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা, সেখানে হাপিত্যেশ করে মরছেন টাইগার ব্যাটাররা। তৃতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৪ রান। ইনিংস হার এড়াতে এখনও দরকার ৩০৭ রান। ক্রিজে ভরসা হয়ে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, ইনিংস হার এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ? ৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। টাইগারদের স্বস্তির শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে যেখানে থামেন, সেখান থেকেই শুরু করেন তামিম। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সাদমান। তিনিও ফিফটির পথে এগিয়ে যান। তবে পারেননি এ ওপেনার। ক্ষণিকেই ভাঙে তার ধৈর্যের বাঁধ। নিল ওয়েগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাদমান। ফেরার আগে করেন ৫ চারে ৩৭ রান। এর জের না কাটতেই বোল্টের শিকার হয়ে দ্রুত মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন ফিরলে চাপে পড়ে সফরকারীরা। বিনা উইকেটে ৮৮ থেকে তাৎক্ষণিক স্কোর হয়ে যায় ১১০/৩। ভরসা হয়ে ছিলেন তামিম। দুর্দান্ত রিফ্লেক্স আর টাইমিংয়ে দারুণ খেলেন তিনি। এগিয়ে যান তিন অংক ছোঁয়ার পথে। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। টিম সাউদির বলে বলে উইকেটের পেছনে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ওয়ানডে মেজাজে ৮৬ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ড্যাশিং ওপেনার। তামিম ফিরলে সৌম্যকে নিয়ে খেলা ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যোগ্য সঙ্গ পান তিনি। অধিনায়ক ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করলেও বেশ চড়াও ছিলেন সৌম্য। বাজে বল পেলেই করেন সীমানাছাড়া। শেষ পর্যন্ত তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে। ফিফটির দোরগোড়ায় আছেন সৌম্য। তিনি ৩৯ এবং মাহমুদউল্লাহ ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। এর আগে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭১৫/৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। ৪৮১ রানের লিড নেয় কিউইরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন কেন উইলিয়ামসন। এটি তার লংগার ভার্সন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ১৬১ রানের অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস খেলেন টম লাথাম। এছাড়া ১৩২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন জিত রাভাল। মিরাজ-সৌম্য নেন ২টি করে উইকেট। হ্যামিল্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। বাকিরা হন চরম ব্যর্থ। ৫ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দেন ওয়েগনার। আর/০৮:১৪/০২ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GV9A5d
March 02, 2019 at 08:14PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top