টাকা আসেনি, পোশাক মিলছে না পড়ুয়াদের

সানি সরকার, শিলিগুড়ি, ১১ মার্চঃ কাগজে-কলমে টাকার অঙ্ক বেড়েছে, কিন্তু বাস্তবে আটকে আছে বরাদ্দ। ফলে শিক্ষাবর্ষের আড়াই মাস পরও পড়ুয়াদের গায়ে ওঠেনি নতুন পোশাক। কবে পাওয়া যাবে টাকা, তৈরি হবে পোশাক তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় শিক্ষকরা। তবে ভোটপর্ব না মিটলে যে এই টাকা পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই, তা বুঝতে পারছেন তাঁরা। এনিয়ে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের শিলিগুড়ির প্রকল্প আধিকারিক অমর বিশ্বাসের বক্তব্য, কোনো জেলাতেই টাকা আসেনি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে পোশাকের টাকা স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে দেওযা হবে।

স্কুলের পোশাকের জন্য বরাদ্দ পড়ুয়াপ্রতি চারশো টাকার পরিবর্তে এই বছর ছযশো টাকা করা হয়েছে। সরকারি এই ঘোষণায অভিভাবকদের পাশাপাশি খুশি হয়েছিলেন শিক্ষকরাও। কেননা চারশো টাকায বছরে দুটি পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে বড়ো সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর আড়াই মাস হতে চললেও পড়ুযাদের পোশাকের জন্য বরাদ্দ টাকা না পাওযা যাওযায় কিছুটা হলেও হতাশ তাঁরা। সমগ্র শিক্ষা অভিযান সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯২টি শিশুশিক্ষাকেন্দ্র এবং ৬১০টি স্কুল মিলিয়ে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় প্রায় দেড় লক্ষ পড়ুয়াকে স্কুলের পোশাক দেওয়া হয়। এ বছর টাকা না আসায় স্বাভাবিকভাবেই একজনকেও পোশাক দেওয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষকদের বক্তব্য, পুরোনো ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কেননা গত বছরের পোশাক পরে তারা স্কুলে আসতে পারছে। কিন্তু নতুন যারা ভরতি হয়েছে,  তাদের নিয়ে মূলত সমস্যা হচ্ছে। একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, অভিভাবকরা প্রায়ই জিজ্ঞাসা করেন, কবে স্কুলের পোশাক পাওযা যাবে। টাকা পাওয়ার ব্যাপারে আমরাও কিছু না জানতে পারায় সঠিক উত্তর দিতে পারি না। অনেক শিক্ষকের বক্তব্য, যারা স্কুলে নতুন ভরতি হয়েছে, তাদের অবস্থা দেখে খারাপ লাগে। কেননা উঁচু ক্লাসের দাদা-দিদিদের পোশাক পরে আসতে দেখে তাদের মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওরা তো আর বুঝতে পারে না গত বছরের পোশাক পরে উঁচু ক্লাসের পড়ুযারা আসছে স্কুলে। টাকা পাওয়ার পরও পোশাক দেওযা হচ্ছে না, এমন ধারণা অনেক অভিভাবকের মধ্যে তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকদের কেউ কেউ। শিক্ষকদের বড়ো একটা অংশের ধারণা, ভোট শেষ না হওযা পর্যন্ত পোশাকের টাকা পাওযা যাবে না। এমনটা মনে করছেন সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কর্মী-আধিকারিকরাও।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2VQUrVV

March 12, 2019 at 12:32PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top