এক জীবনে কত নায়িকার সঙ্গে যে রোমান্স করলেন অনিল কাপুর। তবে সেইসব রোমান্স ছিল শুধু পর্দাতেই। পর্দার বাইরে বেছে নিয়েছেন সুনীতাকে। যার সঙ্গে ছিল সত্যিকারের রোমান্স। তার সঙ্গে এক সংসারেই তার জীবন কেটে গেল। অনিলের সঙ্গে বন্ধুদের মাধ্যমেই আলাপ হয়েছিল সুনীতার। সুনীতা তখন অন্যতম সেরা মডেল। অনিল চেষ্টা করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান গড়ার। বন্ধুর থেকেই ফোন নম্বর নিলেন সুনীতার। আর তার পর শুরু হল কথা। ১৯৮০ সালের কথা। মাত্র কয়েক সপ্তাহ কথা হয়েছে দুজনের। এইতো সেদিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ওর গুন বলতে ভালো লাগে। আবার লজ্জাও লাগে। এমনও নাকি দিন গেছে অনিল কাপুর ট্যাক্সিতে এলে ভাড়া মেটাতেন সুনীতা। প্রচুর উপহারও দিতেন। কখনও বা হাত খরচও দিতেন। সে সময় নাকি স্ট্রাগল করা উঠতি নায়ক হিসেবে খুব একটা কিছু দিতে পারতেন না সুনীতাকে। অনিল যখন নায়ক হতে আসেন, তখন নাকি বাড়ির থেকে কোন সাহায্য নিতেন না। নিজের পায়ে দাড়ানোর চেষ্টা করতেন। কাজ না পেয়ে মন খারাপ করে থাকতেন অনিল। তার জন্য প্রচুর কাজ ছেড়েছেন অনিল। শুটিং বাতিল করে পাশে এসে বসে থাকতেন। সুনীতার বাবা ছিলেন ব্যাঙ্কের বড় অফিসার। বলিউডে বেশ কিছু পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের পর ১৯৮৩ সালে উও সাত দিন ছবিতে স্পটলাইটে আসেন অনিল। সুনীতাকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু সুনীতার পরিবারের আপত্তি ছিল। ১৯৮৪ সালের মশাল ছবি রাতারাতি অনিলকে সেনসেশন বানিয়ে দেয়। অনেক কষ্টে সুনীতার বাড়ি থেকে রাজি হওয়ার পর দুবার বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দেন অনিল। কিন্তু অনেক শুভাকাঙ্খি বলতেন এখনি বিয়ে নয়। তাই বিয়েটা কয়েকবার পিছিয়েছেও। পাঁচ বছর সম্পর্কের পর ১৯৮৪ সালের ১৯ মে বিয়ের পিড়িতে বসেন এ দম্পতি। বিয়ের পর থেকেই অনিলের স্টাইলিং ঠিক করা, পোশাক ডিজাইন করা সবটাই করতেন সুনীতা। নায়কদের প্রেমের রটনা রটবে না এটাতো হতে পারে না। মাধুরী দীক্ষিত ও শিল্পা শিরোদকরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন রটে। কিন্তু সুনীতা পাত্তা দেয়নি। এমএ/ ১১:৩৩/ ০৯ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2U9ZJKN
April 10, 2019 at 05:53AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top