বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামির মতো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী রাহুল সিনহা এ অভিযোগ তুলে ঘটনার এনআইএ তদন্তও চেয়েছেন। তিনি বলেন, অন্য দেশের নাগরিক কিভাবে দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে? এটা আসলে তৃণমূলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামির যোগসূত্রের প্রচার করা হয়েছে। তবে ফেরদৌসকাণ্ডে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেতা ফরহাদ হাকিম। ফরহাদ হাকিম বলেন, অকারণে জলঘোলা করছে বিজেপি। কে কার হয়ে প্রচার করলো, তা নিয়ে কারও কিছু যায় আসে না। কিন্তু বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। তাই তারা জলঘোলা করছে। ভারতে কাজের অনুমোদনপত্র পেয়েছিলেন ফেরদৌস। কিন্তু রায়গঞ্জে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে দেখা যায় তাকে। ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করায় তাকে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে তিনি দেশেও ফিরেছেন। তবে তার ফোন বন্ধ আছে। অভিবাসন দপ্তর রিপোর্টে জানায়, ভারতে কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল ফেরদৌসকে। কিন্তু সেই শর্ত লঙ্ঘন করেছেন অভিনেতা। অভিবাসন দপ্তরের রিপোর্টের ভিত্তিতে ফেরদৌসের ব্যবসায়িক ভিসা বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে অবিলম্বে ভারত ত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে ফেরদৌসকে। শুধু ফেরদৌস নন, মদন মিত্রের সঙ্গে সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন রাণী রাসমণির রাজা রাজচন্দ্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করা গাজী আবদুন নুর। জানা গেছে, এদেশে কাজের অনুমোদনপত্র ছিল দুই বাংলাদেশি অভিনেতার। সেই হিসেবেই ভিসা পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে সামিল হন তারা। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে বিজেপি। ভারতের অবস্থান জানার পর ফেরদৌসকে ডেকে পাঠায় কলকাতায় ভারতীয় উপদূতাবাস। তাকে দেশে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্র: আরটিভি আর এস/ ১৭ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2PehxDS
April 17, 2019 at 08:46PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন