ঢাকা, ২৫ এপ্রিল- মিলার সংগীতজীবন ভালো কাটলেও ব্যক্তিগত জীবনে সংকট কাটছে না। বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হলেও সাবেক স্বামীর সঙ্গে জড়িয়েছে আরেক অভিনেত্রীর নাম। অভিযোগ স্বয়ং মিলার। স্বামী ছিনতাইয়ের মতো উক্তিও এসেছে তাঁর মুখ থেকে। তবে মিলার অভিযোগ নাকচ করেছেন ওই অভিনেত্রী। পপ গায়িকা মিলার দাবি, পারভেজ সানজারির সঙ্গে অভিনেত্রী নওশীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদকর্মীদের কাছে সাবেক স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন মিলা। ওই সময় সাবেক স্বামীর সঙ্গে অভিনেত্রী নওশীনের সম্পর্কের কথা জানান তিনি। মিলা জানান, তখনো বিচ্ছেদ হয়নি, অথচ পারভেজের সঙ্গে নওশীনের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। এমনকি পারভেজের সঙ্গে নওশীনের ঘনিষ্ঠ ছবিও হাতে এসেছিল মিলার। মিলা বলেন, স্বামীর সঙ্গে নওশীনের ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে আমি হিল্লোলকে (নওশীনের স্বামী) জানিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সাইবার ক্রাইমে উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। গত বছরের জুনে রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন ডেকে নওশীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে নিজের বিবাদের একটি রেকর্ড শোনান মিলা। সেই রেকর্ডে শোনা যায়, পারভেজ সানজারির সঙ্গে পরিচয় থাকার কথা স্বীকার করেছেন নওশীন। এ ছাড়া পারভেজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তোলা ছবি নিয়ে নওশীনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন মিলা। গতকাল মিলা আরো জানান, নওশীনের সঙ্গে তাঁর সাবেক স্বামীর সম্পর্কের কারণেই সংসারজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তাঁর অভিযোগ, নওশীনের কারণেই ছিনতাই হয়েছে স্বামী। এ ছাড়া পারভেজ সানজারি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়েছেন মিলা। এদিকে, মিলার সব অভিযোগই সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী নওশীন। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেছেন, তাঁর (মিলা) অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি। আমাকে ভুল বুঝেছেন মিলা। সংবাদ সম্মেলনে যে কণ্ঠ আমার বলে শোনানো হয়েছিল, সেটি আমার নয়। ওটা ফেইক (ভুয়া)। নওশীন আরো বলেন, মিলার সংসার ভাঙতে হলে তো আগে আমার সংসার ভাঙতে হবে। আমি ও হিল্লোল সুখে আছি। মিলার নামে সাইবার ক্রাইমেও আমি কোনো কিছু করিনি। আমি মিলার ভালো চাই। মিলার ব্যক্তিগত বিষয়ে আমাকে না জড়ানোর অনুরোধ করছি। বৃহস্পতিবার ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন পপ গায়িকা মিলা। এ সময় গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের ও বাবা-মায়ের কষ্টের কথা তুলে ধরলেও খবরের শিরোনাম হয়েছে অভিনেত্রী নওশীনকে নিয়ে। মিলা বলেন, শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল আমার বিচার চাওয়া নিয়ে। আমি বিচার চাই (সাবেক স্বামীর)। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো যে কয়েকজন মেয়ের নাম উল্লেখ করেছেন, অভিনেত্রী নওশীন তাঁদের একজন বলে মন্তব্য করেন। এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল সংসারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন মিলা। সেখানে তিনি আগুন-সন্ত্রাসের শিকার নুসরাত জাহান রাফির সঙ্গে নিজের তুলনা করে বলেন, কত কত জীবিত নুসরাত। আইনের কাছে দাঁড়ান দিনের পর দিন, কিন্তু না মেরে ফেলা পর্যন্ত তাদের জন্য কোনো আওয়াজ উঠবে না। দুই বছর হয়ে যাচ্ছে, কোর্টে উল্টা জঘন্যভাবে চিৎকার দিয়ে অপবাদ দেওয়া হয় আমাকে। বিচার তো দূর। দাখিল করা খ ধারার চার্জশিট আমাকে না বুঝতে দিয়ে গ ধারায় মামলার চার্জ গঠন করা হয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিলা আরো বলেন, আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, আমার জানা ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনো রকমের হস্তক্ষেপে নেত্রীর কঠোর নিষেধ রয়েছে। তিনবার আদালতের আদেশ টানা অমান্য করলে জামিন বাতিল হওয়ার কথা। পাঁচবার আমাকে কোর্ট নানান বুঝ দিয়ে পার্মানেন্ট জামিন দেয়। আমি এখন বলতেও পারি নাই শেষের দিন আমার শাশুড়ি, আমার স্বামীর কথায় আমাকে কীভাবে বাথরুম থেকে দরজা ভেঙে বিনা কাপড় পরিহিত অবস্থায় জঘন্যভাবে টেনে বের করে আমার দেবর তার স্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বাবা-মায়ের সামনে এক ঘণ্টা গালিগালাজ করতে থাকে। আমার বাবা ভাইবারে ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরা ঘটনা দেখে। একপর্যায়ে আমি হাত জোড় করে ভিক্ষা চাই এই বলে, আম্মু আমাকে মেয়ে বলে নিয়ে আসছিলেন, আমার গায়ে কাপড় নাই দয়া করে আমাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেনকিন্তু এই অপমান করেন না। ভিডিওটা এখনো আমার কাছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে মিলা আরো বলেন, এর চাইতে কাপড় পরা অবস্থায় আমার গায়ে আগুন দিয়ে দিত... আমি যাই বললাম তাতে পুরা মিডিয়া, শিল্পীরা, আমার ভক্তরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার কথা... কাপড় ছাড়া ওই ছেলেকে রাস্তায় নামিয়ে জুতার বাড়ি দিয়ে মারার কথা... তাই না? আমার এই পোস্টটাই তো সবার শেয়ার করার কথা তাই না? কেও করবে নাহ্... কেও নাহ.. কারণ আমি বেঁচে আছিএই মিলা কেন এখনো প্রতিদিন চিৎকার করে কাঁদে উত্তর পাও তোমরা? আমি দেশের জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী? ১০ বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০১৭ সালের মে মাসে পাইলট পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেন মিলা। অথচ বিয়ের মাত্র ১৩ দিন পরেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরপর বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এন এ/২৫ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2GCMugX
April 25, 2019 at 10:49PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন