মেদিনীপুর, ১৪ এপ্রিল- রাম নবমীর হোর্ডিং খোলাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মুখ সমরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী৷ বললেন, কমিশনের নির্দেশে যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা রাম নবমীর হোর্ডিং খুলেছেন, সামনে পেলে তাঁদের প্যান্ট খুলে নেওয়া হবে৷ এমনকী, ওই সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের চিহ্নিত করে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি তুললেন দিলীপ ঘোষ৷ সূত্রের খবর, এই মন্তব্যের জন্য রাজ্য বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নির্বাচন কমিশন৷ জানা গিয়েছে, রাম নবমী ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র খড়গপুরে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হোর্ডিং লাগিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা৷ যাতে প্রভু রামের পাশে দিলীপ ঘোষের ছবি দেওয়া ছিল৷ কিন্তু যেহেতু রাজ্য বিজেপি সভাপতি মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী, তাই নির্বাচনী বিধি মেনে সেই হোর্ডিং খুলে দেয় কমিশন৷ কমিশনের নির্দেশে একাজ করে পুলিশ৷ আর প্রশাসনের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তিনি জানান, তাঁদের সামনে একাজ হলে ওই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের প্যান্ট-জামা খুলে রাস্তায় ঘোরানো হত৷ তিনি দাবি করেন, এলাকার বিধায়ক হিসাবে সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানাতে ওই পোস্টার তিনি জিতেই পারেন৷ কমিশনের তা খুলে নেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই৷ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের চিহ্নিত করতে হবে কমিশকে৷ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ এখানেই শেষ নয়, দিলীপের অভিযোগ, বহু স্থানে শাসকদল তৃণমূলের নেতাদের ছবি দেওয়া পোস্টার ঝুলছে, কিন্তু তাতে কমিশনের কোনও হুঁশ নেই৷ যত দোষ বিজেপির৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করায় যথারীতি বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ সূত্রের খবর, তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনতে পারে বিরোধীরা৷ তেমন হলে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কমিশন৷ এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি, রাম নবমী উপলক্ষে শনিবার অস্ত্র হাতে খড়গপুর-সহ একাধিক এলাকায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে৷ শনিবার সকালে খড়গপুরে বর্ণাঢ্য মিছিল করেন তিনি৷ ঘুরে দেখেন আখড়াগুলির প্রস্তুতি৷ ওই সময় তাঁর হাতে ছিল গদা এবং তলোয়ার৷ তিনি বলেন, ভোট এসেছে বলে অস্ত্র মিছিল বন্ধ করে দিতে হবে। কিংবা মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ করে দেবেন দিদি, এসব হবে না। দুটোই চলা উচিত। প্রশাসনের বিষয়টা দেখা উচিত। কেন ভোটের জন্য আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক পরম্পরাকে ছেড়ে দেব? তা হতে পারে না। এভাবে চললে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2VPzJX7
April 15, 2019 at 01:08AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top