টোকিও, ১৭ এপ্রিল- বাংলা নববর্ষের (১৪২৬) প্রথম দিনটি জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি ও জাপানি নারীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখল কাহাল আর্ট গ্যালারি। জাপানে প্রথমবারের মতো তারা আয়োজন করে কাহাল আন্তর্জাতিক নারী সম্মাননা ২০১৯। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসী বাংলাদেশি ও জাপানি নারীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আরও উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশি নারীদের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করা। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাঙালি নারীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বর্ষসেরা নারী হিসেবে মনোনীত হন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তাঁর পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. সাহিদা আক্তার ও লেবার কাউন্সেলর মো. জাকির হোসেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রিয়মুখ, শিক্ষক, সংগঠক ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হন মুন্সি রোকেয়া সুলতানা। এ ছাড়া নারী শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন ও নারী কর্মসংস্থানে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ ওমেন্স অ্যাসোসিয়েশন, জাপান ও প্রবাসে বাংলা সাহিত্যচর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও চিত্রকলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য কবি রওনক জাহানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাপানি নারীদের মধ্য থেকে রাজনীতি ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য নারীনেত্রী মীর কাজুয়ে, আত্মকর্মসংস্থান ও সামাজিক ব্যবসার প্রসারে অবদান রাখায় ব্যবসায়ী কাজুমি চাকলাদার এবং বাংলাদেশে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ায় বাংলা ভাষা শিক্ষার্থী ইয়োকোতা সাওরিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পড়ন্ত বিকেলে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি ও জাপানি নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কাহাল আর্ট গ্যালারি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। বাংলা নববর্ষের শুভক্ষণে নারীদের প্রতি বিশেষ সম্মান জানানোয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং একই সঙ্গে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও নাশতা পরিবেশন করা হয়। কাহাল আর্ট গ্যালারির কর্ণধার কামরুল হাসান লিপু ভবিষ্যতেও বাংলাদেশি সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও চারুকলার বিকাশে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ ধরনের সৃজনশীল আয়োজন অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সাইফ-সাদিয়া ফাউন্ডেশনসহ জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কাহাল আন্তর্জাতিক নারী সম্মাননা ২০১৯ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডা. শাহরিয়ার মো. শামস। পুরস্কার মনোনয়ন প্যানেলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন লেখক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক-লেখক ফোরাম, জাপানের সভাপতি জুয়েল আহসান কামরুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঙালি নারী ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি কবি মুকুল মোস্তাফিজের আবৃত্তি, পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীদের নিয়ে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সংগীতের মূর্ছনায় অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। ডা. তাজবীর আহমেদ: গবেষক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান এমএ/ ০১:১১/ ১৭ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2GmvCek
April 17, 2019 at 07:22AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top