ঢাকা, ১৩ এপ্রিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পূর্বাচলে নামমাত্র মূল্যে ৩৭.৪৯ একর জমি বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চলতি মাসেই সেখানে শুরু হচ্ছে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ। প্রাথমিকভাবে বিস্তীর্ণ ভূমিতে মূল মাঠের জন্য জায়গা নির্বাচন করা হবে। পরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে প্রকল্পটি। বিসিবি আশা করছে মাঠের কাজ শুরু হবে এপ্রিলে আর সামনের শীত মৌসুম থেকে দৃশ্যমান হতে থাকবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। দর্শকদের জন্য ন্যূনতম ৫০ হাজার আসন রেখে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সম্মিলন ঘটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করবে বিসিবি। নৌকার আদলে গড়ে তোলা হবে এর অবকাঠামো। নাম হবে দ্য বোট- শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সামনে রেখে শনিবার বিসিবি কার্যালয়ে সভা করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সভা শেষে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম সংবাদমাধ্যমকে তুলে ধরেন কর্মপরিকল্পনা। এই মাসের মধ্যেই আমরা মাঠের স্থান নির্ধারণ নিয়ে কাজ করব। জায়গা ঠিক হলেই কাজ দ্রুত আগাবে। মাঠটি নিরাপদে রাখার জন্য একটা সাইট অফিস করা, সঙ্গে অন্যান্য যে পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো সামনের দিকে আগাবে। আমাদের ইচ্ছে এটি এমন একটা স্টেডিয়াম হবে যেটা শুধু এই অঞ্চলের নয়, পুরো বিশ্বের মধ্যে সুন্দর স্টেডিয়াম হবে। যেহেতু এটা গ্রিন ফিল্ড স্টেডিয়াম, সেহেতু এখানে আমাদের অনেককিছু করার সুযোগ রয়েছে। আপনারা জানেন যে মিরপুর স্টেডিয়ামকে আমরা রূপান্তরিত করেছি। সেজন্য আন্তর্জাতিক মানের, যারা স্টেডিয়াম করেছে এমন পরামর্শকারী প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করার মাধ্যমে একটা আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে এবং আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেন্ডার পদ্ধতিতে এটা করব। স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত কাজ আগামী শীত মৌসুমের আগে করা যাবে না। বিসিবি ইতোমধ্যে একটা ড্রয়িং তৈরি করেছে। সেটিকে সম্প্রসারণ করা এবং এরমধ্যে অন্য যে জিনিসগুলো থাকবে, ড্রেসিংরুম বা অন্যান্য যা থাকবে, সেগুলোকে আরও ব্যাপক আকারে করতে বোর্ড ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে একটা স্টেডিয়াম থাকবে, একটা একাডেমি গ্রাউন্ডের মতো থাকবে। তার মানে আমরা দুটো মাঠ পাবো। ওই জিনিসগুলো করার সিদ্ধান্ত বিসিবি নিয়েছে। ৩৭ একর জমি আছে। ওখানে কী কী করা সম্ভব সেটা আমরা ভেবে রেখেছি। পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন ধরেই আমাদের আগাতে হবে। পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা আরও আগে নেয়া হলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় তা থমকে ছিল। জটিলতা কেটে যায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। প্রতীকী মূল্য ১০ লাখ টাকায় বিসিবির নামে জমিটি হস্তান্তরিত হয়। বিসিবি চাইছে সামনের শীতে মূল কাজ শুরু করতে এবং তার দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ করতে। সূত্র:চ্যানেল আই এমএ/ ০৫:২২/ ১৩ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2PfUloZ
April 13, 2019 at 11:57PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top