জলপাইগুড়ি, ১২ এপ্রিলঃ এবারের লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে বামেদের ভোট প্রচারের ইশ্যু নারী ও শিশু পাচার কাণ্ড। এই ইশ্যুকে কেন্দ্র করেই তারা মনে পড়ে শিরোনামে একটি পোস্টারও বানিয়ে ফেলেছে। পোস্টারে হোম কাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারাধীন বিজেপি যুব নেত্রী জুহি চৌধুরির পাশাপাশি রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছবি ও নাম রয়েছে। এই পোস্টার দিয়ে বামেরা সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভোটের প্রচার সারছে। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও বামেদের এই প্রচারকে তৃণমূল এবং কংগ্রেসও তুরুপের তাস করতে চাইছে।
ভোটের মুখে ঘটনাটি প্রচারের আলোয় আনার জন্য তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বামেদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় তৃণমূল সরকার রাজ্যজুড়ে সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। কিন্তু বামেরা তাদের আমলে সব জেনেও কিছুই করেনি। জেলা বামফ্রন্ট আহ্বায়ক সলিল আচার্য বলেন, জলপাইগুড়ির হোম কাণ্ডে বিজেপির জেলা থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা অভিযুক্ত। তাই বিষয়টি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছি। তৃণমূল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বোঝাপড়ার জন্যই বিজেপির শীর্ষ নেতারা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে সলিলবাবুর অভিযোগ। বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেসও বিষযটিকে প্রচারের ইশ্যু করছে বলে জানান জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মণিকুমার দার্নাল। এদিকে, বাম দলের প্রচারের ইশ্যু নিয়ে বিজেপির কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানালেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক। তিনি বলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকারের সিআইডি মিথ্যে অভিযোগ এনেছিল। বাম আমল থেকে ঘাঁটি গেড়ে বসা নারী ও শিশু পাচার কাণ্ড তৃণমূলের আমলেই বৃদ্ধি পায়, এই অভিযোগ এনে আমরাও প্রচারে নামছি।
২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুযারি জলপাইগুড়ির নর্থবেঙ্গল পিপলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এবং কেরানিপাড়ার বিমলা শিশু গৃহর কর্ত্রী চন্দনা চক্রবর্তীকে রাজ্য সিআইডি নারী এবং শিশু পাচারের ঘটনার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। সেইসঙ্গে চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক, বিজেপির জেলা যুব মোর্চার নেত্রী জুহি চৌধুরি, জলপাইগুড়ি জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ, তাঁর স্বামী তথা দার্জিলিং জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ, দার্জিলিং শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য চিকিৎসক দেবাশিস চন্দকেও একই অভিযোগে সহায়তা করার জন্য সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এমনকি জুহি চৌধুরির মাধ্যমে চন্দনা চক্রবর্তী বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল বলে সিআইডি অভিযোগ আনে। দুই হেভিওয়েটের যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলগুলি আন্দোলনও করেছিল। বর্তমানে এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া সকলেই জলপাইগুড়ি জেলা ও দাযরা আদালতে বিচারাধীন মামলায় জেলা সেন্ট্রাল সংশোধনাগারে রয়েছেন।
The post সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ইশ্যু শিশু পাচার appeared first on Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal.
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://bit.ly/2UPIEKQ
April 12, 2019 at 03:50PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন