কলকাতা, ১৬ এপ্রিল- বাড়ি থেকে রিকশায় চড়ে মন্দিরে পূজা দিয়ে বছরের প্রথম দিন শুরু করলেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। এরপর ছোটবেলার শহরের কাছের মানুষদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান তিনি। সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন। দুপুরে জলপাইগুড়িতে লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণের সমর্থনে জনসভা করে বিকেলে শহরে হুড খোলা গাড়িতে প্রচারণা চালান। বহু মানুষ তখন জনপ্রিয় এই নায়িকাকে দেখতে ও তার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সোমবার সারাদিন পাণ্ডাপাড়ার মেয়ে মিমিকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল। মিমি ছোট বেলা সঞ্জয় পাসওয়ান নামে এক রিকশা চালককে মামা বলে ডাকতেন। তিনি সেই বহুদিনের পুরনো রিকশা নিয়ে মিমির বাড়ির গেটে হাজির হন। সেই মামার রিকশাতে করেই তাকে কালী মন্দিরে পূজো দিতে নিয়ে যান মিমি ফ্যানস ক্লাব-এর সদস্যরা। যদিও কিছুটা পথ গিয়েই প্রতিবেশীদের বাড়ির সামনে নেমে পড়েন তিনি। পরে সেখান থেকে হেঁটেই মন্দিরে যান তিনি। যাবার সময় প্রতিবেশীর বাড়ির গেট খুলে ওই বাড়ির কুকুরকে আদর করতেও ভোলেননি। প্রতিবেশীদের কে কেমন রয়েছেন সে খোঁজও নিয়েছেন। এরপর সোজা মন্দিরে। মিমি ফ্যানস ক্লাব তাকে সংবর্ধনা দেন। সংবর্ধনা পেয়ে মিমি বলেন, এই এলাকা থেকে হাসপাতাল প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। তাই আমি চাই এখানে একটা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা করা হোক। এই বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করব। এরপর দুপুরে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাণ্ডা পাড়া পার্কের মোড়ের পাশে ফাঁকা মাঠে বিজয়চন্দ্র বর্মণের সমর্থনে একটি জনসভা করেন মিমি। এই পাণ্ডা এলাকায়ই বড় হয়েছেন মিমি। ১৫ বছর পর নতুন বছরের প্রথম দিনটি বাড়িতে কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন মিমি। সভায় তিনি বলেন, আমি বেশি কথা বলি না। কাজ করাকে বিশ্বাস করি। তাই অনেকে বলছেন আমার কাজের অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অভিজ্ঞতার দরকার হয় না। রিকশাচালক সঞ্জয় পাসওয়ান বলেন, আমি মিমিকে স্কুলে নিয়ে যেতাম। বান্ধবীর বাড়িতে কিংবা পড়তেও যেত আমার রিকশায়। আমি ম্যাডাম বলে ডাকতাম। আমি খুব খুশি, সেই ম্যাডাম এখন সত্যিই ম্যাডাম হয়েছেন। আর/০৮:১৪/১৬ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2PbGdgh
April 16, 2019 at 08:40PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন