লন্ডন, ০৯ এপ্রিল- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আব্দুশ শাকুর (৪৫) ১২ বছর আগে লন্ডনে নিজের স্ত্রীসহ দুই কন্যাকে হত্যা করেছিল বলে সন্দেহ যুক্তরাজ্য পুলিশের। ভারতে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি শাকুরের। যুক্তরাজ্য তাকে ফেরত নিয়ে আদালতে হাজির করেছে। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে পুর্ব লণ্ডনের নেলসন ষ্ট্রিটের বাড়ি থেকে শাকুরের স্ত্রী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জুলি বেগম (২৬), ছয় বছরের শিশুকন্যা তানহা খানম ও পাঁচ বছরের শিশুকন্যা আনিকা খানম মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার কয়েক বছর পর ভারতে সন্ধান মেলে জুলির স্বামী শাকুরের। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০১২ সালে ভারতীয় পুলিশ অভিবাসী আইনে তাকে গ্রেফতার করে। ধারণা করা হয়, স্ত্রী ও কন্যাদের খুন করেই ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল শাকুর। সেখান থেকে ফেরত এনে সোমবার তাকে বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়। যুক্তরাজ্য সরকার শাকুরকে ফেরাতে ২০১৩ সালে তৎপরতা শুরু করে। ৫ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় এবার তাকে ফেরত পেতে সমর্থ হলো তারা। গত শনিবার শাকুর ভারতের এক ফ্লাইটে হিথ্রো বিমানবন্দরে নামে। বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। লন্ডন মেট্রো পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যার ঘটনায় শাকুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হত্যার তিনটি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ১০ এপ্রিল বুধবার তাকে লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে হাজির করা হবে। ২০০৬ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বোন জুলি বেগম আর ভগ্নিপতির কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না। নয় দিন ধরে কোন খোঁজ না পেয়ে জুলির বোন পুলিশে খবর দিলে নিজ বাড়ী থেকে জুলি ও জুলির দুই শিশুকন্যার গলিত লাশ উদ্ধার করে। সোমবার (৯ এপ্রিল) শাকুরকে বার্কিংসাইড ম্যাজিষ্টেট কোর্টে হাজির করে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। জুলি বেগম যখন খুন হয়, সে সময় নিউহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার ছিলেন রহিমা রহমান। তিনি মঙ্গলবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মা ও দুই শিশু কন্যার মৃত্যুর সেই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ এআর/০৯ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2VBfQ5O
April 10, 2019 at 01:00AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন