কলকাতা, ০১ মে- যদি একটি ভোটে হেরে যান কংগ্রেস অধীর চৌধুরী, এটা মানতে পারেননি বহরমপুরে রেণুকা মাড্ডি৷ তাই একমাত্র ছেলের মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। বহরমপুরের মাঝদিয়া গোড়াবাজার এলাকার বাসিন্দা রেণুকা মাড্ডি। এ খবর দিয়েছে কলকাতা ২৪। রেণুকা মাড্ডি সোমবার সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়ে ছিলেন শ্রীগুরু পাঠশালায়। লম্বা লাইন দেখে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়িতে তখন অপেক্ষা করছিল তার জীবনের চরম দুঃখের মুহূর্ত। বাড়ি এসে দেখেন তার ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। সেই সময়ে তার স্বামী রেল কর্মী সদানন্দ মাড্ডি নিজের কাজে বাইরেই ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ছেলেকে নিয়ে যায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে৷ সেখানে চিকিৎসকরা তার ছেলে রজত মাড্ডিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। রজতকে নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। মৃত্যু শোক চেপে রেখেই তিনি আবারও যান ভোট দিতে যান। কারণ তিনি মনে করেছিলেন একটি ভোটের জন্য তার প্রিয় নেতা হেরে যেতে পারেন। যদি অধীর চৌধুরী একটি ভোটে হেরে যায় সেটি তিনি মানতে পারবেন না। তাই ছেলের মৃতদেহকে হাসপাতালে রেখেই অধীর চৌধুরীকে ভোট দিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ভোট দান করে ফিরে এসে ছেলের সৎকার করেন তিনি। মঙ্গলবার সেই খবর যখন অধীর চৌধুরীর কানে পৌঁছায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান রেণুকা মাড্ডির বাড়িতে৷ অধীরবাবু বলেন, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে আমাকে বাঁচানোর এই প্রচেষ্টা এক অরাজনৈতিক সাধারণ মহিলার। সব কিছুকে ছাপিয়ে এক অন্য প্রেক্ষাপট রচিত হল বহরমপুরে। আর আরও একবার প্রমাণ হল অধীর চৌধুরী মানুষের মনের ঠিক কোন অংশ থাকেন। তিনি বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান এবং তাদের দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নেন। আগামী দিনে এই পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানান তিনি। এমএ/ ০০:৩৩/ ০১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2GKWzsz
May 01, 2019 at 06:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন