ঢাকা, ০৮ মে- ক্লাসিক্যাল গানে তার মতো দক্ষ শিল্পী পাওয়া কঠিন। আধুনিক গানেও একটা আলাদা ধাঁচ ছিল। রেওয়াজ করত নিয়মিত। নতুনদের মধ্যেও অভ্যাসটা করে দিয়ে গেছে। এটা তার অর্জন। সুবীরের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় সত্য সাহার মাধ্যমে। তখন বন্ধু তোর বরাত নিয়া গানটি লিখেছি। সত্যদা সুর করেছেন। তত দিনে সুবীরের গুণগান ছড়িয়ে পড়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। আমরা তাকে নিলাম। কণ্ঠ দেওয়ার দিনই লক্ষ করলাম, সে আর দশজন শিল্পীর চেয়ে আলাদা। গানের জন্য নিবেদিত। ব্যবহারটাও অমায়িক। সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রথম দিনই কাছের মানুষ হয়ে গেলাম। সুবীর আমার অত্যন্ত স্নেহের। এইতো সেদিনের কথা! তপন চৌধুরী ও শাকিলা জাফরকে নিয়ে সুবীর এক দুপুরে হাজির হলো আমার বাসায়। আমার স্ত্রী কেবল খাবার দিচ্ছেন। সুবীর বলল, ভাই, দশ মিনিট পরে খাবেন, আগে আমাদের একটা দেশের গান লিখে দেন। আমি তো অবাক! বললাম, আগে খেয়ে নিই। পরে লিখে দিচ্ছি। সুবীর নাছোড়বান্দা। শেষ পর্যন্ত দশ মিনিটেই লিখে দিলাম আমার গানের অস্থায়ী আমার বাংলাদেশটা। সুবীরও পনেরো মিনিটে হারমোনিয়াম নিয়ে সুর করে ফেলল। আমি অবাক হয়ে গেলাম। এত অল্প সময়ে এত সুমধুর সুর করল সে! নিঃসন্দেহে সুবীর আমাদের দেশের গর্ব। আমি যত ছবি প্রযোজনা বা পরিচালনা করেছি, প্রতিটিতে সুবীরের জন্য একটি হলেও গান রেখেছি। শেষবার তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে মনে হয়েছে, আর বুঝি সুবীরকে পাব না। মাঝখানে যখন ওর জ্ঞান ফিরল, তখন আবার আশাবাদী হয়েছিলাম। তারপর কী যে হয়ে গেল! সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, সুবীরকে ফেরাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন। আশা করছি, সুবীর নন্দীর স্মরণীয় গানগুলো স্মরণে রাখার মাধ্যমে তাকে সবাই বাঁচিয়ে রাখবেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার: গীতিকার, প্রযোজক ও পরিচালক এমএ/ ০৪:২২/ ০৮ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WzBKXC
May 08, 2019 at 10:24PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top